বহুল প্রতীক্ষিত পটুয়াখালীর দৃষ্টিনন্দন পায়রা ফোর লেন সেতু খুলে দেওয়া হচ্ছে চলতি অক্টোবর মাসেই। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সেতুর ৯৯ শতাংশ নির্মাণকাজ। এখন চলছে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। এ সেতুর বদৌলতে অর্থনৈতিক সাফল্যের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলবাসী।
যাত্রাবাড়ি-মাওয়া-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে পায়রা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। এতে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। ব্যয়ের ৮২ ভাগ বহন করেছে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাপেক্স ফান্ড। সব কাজ শেষ করে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতুটি।
১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের পায়রা সেতু নির্মিত হয়েছে দুটি অ্যাবাটমেন্ট ও ৩১টি পিয়ারের উপর। এছাড়া রয়েছে ১ হাজার ২৬৮ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক, টোল প্লাজা ও প্রশাসনিক ভবন।
পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম জানান, সেতুর অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এতে বিশেষভাবে যুক্ত করা হয়েছে হেলথ মনিটরিং ও পিয়ার প্রটেকশন সিস্টেম। যা যেকোনো দুর্ঘটনায় সিগন্যাল দেবে। এ মাসের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেতু উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এরপরই গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
তিনি আরো জানান, পায়রা সেতু চালুর পর কুয়াকাটার পর্যটন শিল্প আরো উন্নত হবে। ঢাকা থেকে কাছের দূরত্বে চলে আসবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র সাত ঘণ্টা। বরিশাল থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কুয়াকাটা যেতে সময় লাগবে দুই-আড়াই ঘণ্টা।