স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, তামাকের বিরুদ্ধে আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছিলাম তাতে মনে হয় আমরা মোটামুটিভাবে সফল হয়েছি। এখন আর কেউ প্রকাশ্যে ধূমপান করে না। তামাক যে ক্ষতিকর সেটা আমাদের জনগোষ্ঠী জেনে গেছে। সে কারণে অনেকেই তামাক থেকে ফিরে সাধারণ জীবনযাপন করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্রের (ওয়েসিস) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন। আমাদের পুলিশ বাহিনীর প্রচেষ্টায় আমরা সফল হয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সেই যুদ্ধেই আজ আমরা অবতীর্ণ। এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে। অন্যথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা রক্ষা করতে পারবো না।
মন্ত্রী আরো বলেন, মাদকের ডিমান্ড হ্রাস, সাপ্লাই হ্রাস ও হার্ম হ্রাস এই তিন ধরনের কাজ করে থাকি। ডিমান্ড হ্রাস এলাকার যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের কাছে আহ্বান রাখবো- আপনারা সবাইকে উদ্বুদ্ধ করুন, জানান। এটা যদি আমরা কন্ট্রোল করতে না পারি, নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম শেষ হয়ে যাবে। আমরা ২০৪১-এ যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সেখানে হোঁচট খাবো। সেজন্যই মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান।