কোনো সরকারি চাকরিজীবী অবসরে যাওয়ার পর গুরুতর অপরাধে সাজা পেলে তার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিক বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করতে পারবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। এ বিধান সংশোধনে প্রস্তাব করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বৈঠকে যুক্ত হন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছিল। আইনের ৫১(৪) ধারায় বলা হয়েছে- অবসর সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণে দোষী সাব্যস্ত হলে, কারণ দর্শানোর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করতে পারবে। এ ধারাটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। মন্ত্রিপরিষদ তাতে রাজি হয়নি। আগেরটিই বহাল রেখেছে মন্ত্রিসভা।
এছাড়া অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা সরকারি কর্মীদের বিদেশ যেতে বা অন্য কোথাও চাকরিতে যোগ দিতে অনুমতি লাগে না। এ ধারা সংশোধন করে সরকারের অনুমতি নেওয়ার বিধান যুক্তের প্রস্তাব করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভা তাও অনুমোদন করেনি। সরকার যদি কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেয় তাহলে তা করতে পারবে। তবে আগের আইনে কিছু করণিক ভুল ছিল। সংশোধিত আইনে সেগুলো ঠিক করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।