নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে লাখো মানুষ। রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার কর্মস্থল থেকে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি ছুটছেন তারা। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-আরিচা ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সোমবার সকাল থেকেই এই ভিড় শুরু হয়।
এছাড়া পাটুরিয়া-ঢাকা মহাসড়কের চরের ডাঙ্গা এলাকা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার যানজট রয়েছে। এতে যাত্রীদের ঘাট এলাকায় এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ছে লঞ্চ ও ফেরিতে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে গাদাগাদি করে যাত্রীরা লঞ্চ ও ফেরিতে উঠছেন।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে নদীতে প্রচণ্ড স্রোতে ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগছে। আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ফেরি স্বল্পতা এবং যানবাহন বৃদ্ধির কারণে ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ফেরি স্বল্পতা ও নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগায় ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ১৬টি ও আরিচা কাজীরহাট নৌরুটে মাত্র ৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করায় ঘাট এলাকায় এ যানজট দেখা দিয়েছে।
শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ঘাট এলাকা দিয়ে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে প্রায় ৬ শতাধিক পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন নিয়োজিত রয়েছে। যাত্রীদের মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানা বলেন, লঞ্চে সামাজিক দূরত্ব ও দুই সিটে একজন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের পারাপার করতে বলা হয়েছে। কোনো লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে গাদাগাদি করে যাত্রী পারাপার করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে, সোমবার সকাল ১০টার দিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সরেজমিনে দেখা যায়, মানুষ নানা পরিবহনে করে শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন। তবে এদিন ঝাঁকে ঝাঁকে মোটরসাইকেল দিয়ে মানুষজন ফেরি পারাপার হচ্ছে। অতিরিক্ত মোটরসাইকেলের চাপে ৩ নম্বর ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী গাড়ি উঠতে পারছিল না। রাণীক্ষেত নামের ফেরিটিতে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল উঠে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৫টি ফেরি দিয়ে চলাচল স্বাভাবিক রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ১৫টি ফেরি, ৮৪টি লঞ্চ শত শত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষ ছুটছেন। পদ্মায় স্রোতের কারণে পদ্মা পাড়ি দিতে ফেরিতে অতিরিক্ত সময় লাগছে।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক হাফিজুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচ শতাধিক যানবাহন পদ্মা পারের অপেক্ষায় রয়েছে।