মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৮ হাজার ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ৩৯ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪০ লাখ ৩৪ হাজার ৮০৩ জনে।
একই সময়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ২৮৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২১ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার ৬৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার ৭৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২২ হাজার ৬৯৮ জন মারা গেছেন।
আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪৩৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭১৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ৪৯৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৭ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় আর মৃতের সংখ্যার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২০৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৬৪৮ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৭ হাজার ১৭৩ জন।
এছাড়া মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৩০২ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৪১ হাজার ৫০১ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৫৬ জন ও মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৮ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।