করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলাচলকারী আটককৃতদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্তকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলকে খোঁজ নিতেও বলেছেন হাইকোর্ট।
বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলাচল করার অভিযোগে রাজধানীর ৩৩টি থানা এলাকা থেকে তিন হাজার ৬৫ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আদালতের গারদখানায় আটকদের নেয়া হচ্ছে। সেখানে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে শুনানির সময় আটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, আপনি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে কথা বলুন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আটককৃতদের আদালতে হাজিরা নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
এর আগে আইনজীবী আসাদ উদ্দিন আদালতে বলেন, লকডাউনে বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর ৩৩টি থানা থেকে গ্রেফতার করে সবাইকে একযোগে আদালতের কয়েদখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গারদখানায় ৬০০ বা ৭০০ লোক একসঙ্গে ভিড় করছেন। সেখানে কোর্ট কাস্টডিতে একজনের সঙ্গে একজন লেগে আছে। একজনের নিশ্বাসের সঙ্গে আরেকজনের নিশ্বাস মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। একইভাবে তাদের সঙ্গে দেখা ও কথা বলতে গারদখানার সামনে ভিড় করছেন স্বজনরা।
তিনি আরো বলেন, যে অবস্থা সেখানে দেখা গেছে, কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করতে চাই, যাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের স্ব স্ব থানায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রডিউস করা হোক। আদালত বিষয়টি শুনে অ্যাটর্নি জেনারেলকে এ আদেশ দেন।
আইনজীবী আসাদ উদ্দিন জানান, বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ডিএমপি অধ্যাদেশ অনুযায়ী তাদের আটক করে গারদখানা ও আদালতে তোলা হচ্ছে। এতে করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।