ঢাকার চারপাশের ৭ জেলায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন। এসব জেলা থেকে ঢাকায় কোনো গণপরিবহন আসতে বা সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে থেকে আসা মানুষদের রাজধানীতে প্রবেশ ঠেকিয়ে রাখা না গেলে, ঢাকার সার্বিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নাজুক হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল ব্রিফিং এ কথা বলেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
সারাদেশের মানুষ এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ না মানলে চলমান করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে- এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ প্রসঙ্গে রোবেদ আমিন বলেন, ‘করোনার অবনতি ঘটেছে। সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকার চারপাশে কঠোর লকডাউনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আপাতত ঢাকার পার্শ্ববর্তী ৭ জেলার সংক্রমণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। যদি এসব জেলার মানুষদের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে ঢাকাকে লকডাউনের বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া এই সংক্রমণ জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অসুবিধার সৃষ্টি করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা, হাসপাতালে চিকিৎসার প্রস্তুতি নেওয়া, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবা প্রদানের সুযোগ দেওয়াসহ করোনায় মৃত্যু কমিয়ে আনার ব্যাপারে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। এজন্য সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।’
ভার্চুয়াল বুলেটিনে সরকারের নির্দেশিত কঠোর বিধিনিষেধ মানতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনে কঠোর হওয়ার অনুরোধ জানান অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট ১৩ হাজার ৭৮৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া দেশে নতুন করে আরও ৫ হাজার ৭২৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২২ জুন থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকার পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলায় লকডাউন ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।