করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ ফেরি বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে। বেশি বিপদে আছেন মুমূর্ষু রোগী ও তাদের স্বজনরা।
শনিবার (৮ মে) সকাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটে ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় মুমূর্ষু রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স। তাদের স্বজনরা জানান, ফেরি বন্ধের খবর তাদের জানা ছিল না।
মাহমুদ নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমাদের রোগীর অবস্থা খুব খারাপ। অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকায় নিতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে।’
আরেক অ্যাম্বুলেন্স থেকে এক রোগী বলেন, ‘আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত। আজ কেমোথেরাপি দেওয়ার তারিখ। ঘাটে এসে দেখি ফেরি বন্ধ। আমাদের অনুরোধ রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের সুযোগ দেওয়া হোক।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ জানান, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে শনিবার থেকে দিনের বেলায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথ ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে সন্ধ্যার পর জরুরি সেবায় নিয়োজিত এমন পরিবহন চলাচলের জন্য ছোট কয়েকটি ফেরি চালানো হবে।’
শুক্রবার (৭ মে) ঈদ উপলক্ষে দিনের বেলায় বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নামে এই নৌপথে।
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে কোনো প্রকার যানবাহন ছাড়াই যাত্রী নিয়ে পার হয় ফেরি।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে স্বাভাবিক অবস্থায় ১৬টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে চলাচল করে। লকডাউনে কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে সীমিত করা হয় ফেরি চলাচল। লকডাউনের শুরুতে জরুরি সেবায় ছোট ৭টি ফেরি চলাচল করলেও শুক্রবার যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহনের চাপ থাকায় সব কয়টি ফেরি চলাচল করে। তবুও পারের অপেক্ষায় উভয় পাড়ে আটকা পড়েছে অসংখ্য যানবাহন।