ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডব পূর্পপরিকল্পিত উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, এমন একটা সময়ে এই হামলা করা হয়েছে যখন স্বাধীনতার ৫০ বছরের পূর্তি হচ্ছে, বাংলাদেশ যখন সারাবিশ্বের কাছে আলোচিত উন্নয়ন-অগ্রগতির কারণে। সেই সময়ে আমাদের সুবর্ণ জয়ন্তীতে কালেমা লেপনের জন্য পরিকল্পিতভাবে বিএনপি, জামায়াত এবং হেফাজত মিলে এই কাজটি করেছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন তিনি। এরআগে প্রেস ক্লাবে হামলার বিষয়ে প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন মাহবুবুল আলম হানিফকে অবহিত করেন।
গত ২৮শে মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্থাপনাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকজন সাংবাদিকের ওপরেও হামলা চালানো হয় সেদিন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলব যারা এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, স্বাধীন রাষ্ট্রে এই ধরণের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করা যাবেনা। ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল, একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যাকলাপ করা হয়েছে। এগুলো কোনোভাবেই বরদাশত করা হবেনা। এবার আশ্বস্ত করছি, এবার আমরা একটা কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরও বলেন, হেফাজতের যারা এখানে আছেন, তাদের কাছে তো গান পাউডার থাকার কথা না। এই গান পাউডারের ব্যবহার আমরা ১৯৭১ সালে দেখেছি।
আর দেখেছি জামায়াতের বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকা-ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এখন আবার নাশকতামূলক কর্মকা-ে গান পাউডারের ব্যবহার দেখে পরিস্কার হয়ে গেছে, হেফাজতের কাঁধে ভর করেছে জামায়াত এবং বিএনপি। তারাই এ সন্ত্রাসী কর্মকা- করেছে।
এ সময় মাহবুব উল আলম হানিফের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক মো. আল আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি- বেসরকারি স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন।