গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এর বিরুদ্ধে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বিতরণ যোগ্য ঘরের নির্মান কাজে নিম্নমানের ইট, বালু, কাঠ, জানালা-দরজা ব্যবহার, ইট গাথুনিতে সিমেন্টর পরিমাণ কম। মাটির নিচে ভিত্তিতে ১ ফুটের পরিবর্তে ৫ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনি দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম করেছে। এছাড়াও খরচ বাঁচানোর জন্য জানালা-দরজার লেভেল পর্যন্ত ইটের গাঁথুনি হওয়ার পরে ঘুরিয়ে লিন্টন না দিয়ে নাম মাত্র কাটা লিন্টন দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভার্চুয়ালী মিটিংয়ে ঘর উদ্বোধন করে হস্তান্তর দেখালেও প্রকৃতপক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের ৪৮০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। মুজিব বর্ষের প্রথম পর্যায়ের এই ৪৮০টি ঘর গোবরা, উরফি, উলপুর, করপাড়া, গোপিনাথপুর ও বৌলতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন খাস জমির ওপর নির্মান হচ্ছে।
অপরদিকে ইট গাঁথুনিতে সিমেন্টের ভাগ কম দেওয়ায় কয়েকটি ইউনিয়নের প্রকল্পে ঘর ভেঙে পড়লে রাতের আঁধারে আবারো জোড়াতালি করা হয়। এছাড়াও অনেক ঘরে ফাটল ধরে ছিল, ঘষামাজা করে রং দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। এ সকল অনিয়মের বিষয়ে জনস্বার্থে বিভিন্ন ব্যক্তি গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও প্রকল্প পরিচালক, আশ্রয়ন-২ প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা বরাবরে অভিযোগ করে বাণিজ্যিক এই (ইউএনও) ও (পিআইও) এর অনৈতিক কাজের শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। অপরদিকে অভিযোগ পত্রের রিসিভ কপি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে জনমোনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এসকল অভিযোগের বিষয় জাচাইয়ে আমাদের প্রতিবেদক সরেজমিনে ঘর নির্মানের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট অভিযোগ কারি ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানিয়েছে উপকারভোগীরা অনিয়ম দেখেও ঘর হারানোর ভয়ে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেনা। নাম গোপন রাখার শর্তে কয়েকজন ভূমিহীন উপকারভোগী বলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী মজবুত ঘর দেওয়ার পয়সা দিছে, ইউএনও পিআইও স্যার যা বানাচ্ছে আমরা ঘরের নিচে চাপা পইড়া মইরা না যাই। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার বেগম আমাদের প্রতিনিধি কে বলেন আমি ঘর নির্মানের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে নিম্নমানের ইট, বালু দেখে সংগে সংগে প্রতিবাদ করে ছিলাম। এ সকল অভিযাগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মোঃ আলাউদ্দিন বলেন ইউএনও স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ রাশেদুর রহমান কে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিছিভ করেনি।