ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলী মাঠে ফসলী জমিতে অবাদে চলছে পুকুর খনন।ফসলী জমির মালিকদের মাটি খেকো চুক্তিদারা ফ্রীতে পুকুর খনন করে দেওয়ার নামে জমির মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ফসলী জমিতে যত্রতত্র পুকুর খনন করায় ফসলী জমি ধ্বংস হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার জুঙ্গুরদী গ্রামের বড় চকের ফসলী মাঠের জমিতে যত্রতত্র পুকুর খনন করে মাটি খেকো জুঙ্গুরদী গ্রামের মৃত আজাহার শেখের ছেলে ওহিদ শেখ ও ভ্যাকু/ট্রলি গাড়ির চুক্তিদার শশা গ্রামের আমান কাজী গংরা মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এছাড়া অতি গুরুত্বপূর্ণ জুঙ্গুরদী গ্রামের সেলম খালীর খালের সম্মুখে পুকুর খনন করায় ফসলী মাঠে শত শত একর জমির পাট,ধান,রবি শস্য বাড়ীতে আনতে বিঘ্ন ঘটছে এলাকাবাসীর। ফসলী জমির মাঠ জুড়েই যত্রতত্র পুকুর খনন করায় পুকুরে চারপাশের জমির ফসলও নষ্ট হচ্ছে। এসকল মাটি খেকোরা মাটি বিক্রি করে প্রতিদিন ৪০/৫০ হাজার টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জুঙ্গুরদী গ্রামের বুলি মোল্যা বলেন, একটি স্বার্থন্নেসী মহল ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করছে এবং মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কিন্তু এতে এলাকা বাসীদের পড়তে হচ্ছে নানা অসুবিধায়, একেতো ফসলি জমি হ্রাস পাচ্ছে অন্যদিকে পুকুর খননের কারনে বাধ হওয়ায় ছেলম খালী খালে বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচলে বিগ্ন ঘটছে। এবিষয় নিয়ে এলাকার ভুক্তভোগীরা ৮ ফেব্রুয়ারী নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান মাহমুদ রাসেল এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে ভুক্তভোগীদের আশ্বস্ত করেন।