দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) অস্বাভাবিক দরপতন হয়েছে। এদিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪২ পয়েন্ট কমেছে। বিগত দুই বছরের মধ্যে এটি অন্যতম বড় দরপতন।
এ বড় পতনের ফলে ১১টি ব্রোকারেজ হাউজের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পাশাপাশি বড় দরপতনের পেছনে কোনো কারসাজি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ডিএসই’র সার্ভিলেন্স বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। এ বৈঠকে সভাপতিত্বে করেন বিএসইসি’র কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আটটি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপের কারণে বড় দরপতন হয়েছে। বিএসইসি’র সার্ভিলেন্স বিভাগ লক্ষ করেছে, ১১টি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে ওই আট কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল। ওই আট কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে সূচক কমেছে ৮০ পয়েন্ট। একটি ব্রোকার হাউজ থেকে অতিরিক্ত বিক্রির চাপ আসে।
আটি কোম্পানি হলো—বিএটিবিসি, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মা ইত্যাদি।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, এখন থেকে লেনদেন সময়ে বাজার পর্যবেক্ষণে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি, অস্বাভাবিক লেনদেন করা ব্রোকার হাউজগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো হবে।
এ বিষয়ে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘অস্বাভাবিক দরপতনের কারণ খতিয়ে দেখছে বিএসইসি। এ পতনের পেছনে কোনো কারসাজি আছে কি না, তা তথ্য-প্রমাণসহ খতিয়ে দেখা হবে।’