মিয়ামনারের নতুন সামরিক সরকার ক্ষমতা দখলের কারণ জানিয়ে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা একটি চিঠি দিয়েছে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে। সেখানে বলেছে, কী কারণে তারা টেকওভারটা করেছে। এর পরে আমরা আর কোনো তথ্য পাইনি।’
চিঠির বিষয়বস্তু প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলছে যে, ১০ দশমিক ৪ মিলিয়ন ভুয়া ভোট হয়েছে। ভুয়া ভোটের কারণে তাদের দায়-দায়িত্ব আছে এটাকে শোধরানোর।’
ড. মোমেন আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর এসেছে, নতুন মিলিটারি কমান্ডাররা রাখাইনে যেসব রোহিঙ্গা আছে, তাদের ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। ওদের মুরুব্বিদের সাথে আলাপ করেছেন। তখন ওরা (রোহিঙ্গা) তাদের অভিযোগের কথা বলেছে যে, তারা চলাফেরা করতে পারে না। তখন নতুন সরকার বলছে যে, আমরা আস্তে আস্তে তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন করব। ধাপে ধাপে তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে।’
এগুলো শুনে কক্সবাজারে ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা খুব খুশি, এ তথ্য জানিয়ে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আর্মি তাদের অভয় দিয়েছে। এগুলো ভালো সংবাদ। নতুন শুরু।’
তবে রাখাইনের ক্যাম্পে সেনাবাহিনী যাওয়ার খবর এখনও সরকারিভাবে আসেনি বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার উভয় দেশের ডিজি পর্যায়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা জানিয়েছে, এই বৈঠকটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে কীভাবে এই বৈঠক হবে? তবে তারা জানিয়েছে, পরবর্তী সময়ে বৈঠকের বিষয় জানানো হবে।’
আল জাজিরার ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কোনোদিন কোনো বডিগার্ড ছিল না। বডিগার্ড ছিলেন সব নেতাকর্মীরা। কোনোদিন আমরা দেখিনি, উনি পয়সা দিয়ে বডিগার্ড রেখেছেন। ওখানে (আল জাজিরার প্রতিবেদনে) বলা হয়েছে, ওনার দুই বডিগার্ড। এটা মিথ্যা তথ্য।’