মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান ও দেশটির নেত্রি অং সান সু চির আটককে ‘মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ রদবদল’ বলে মন্তব্য করেছে চীন। দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
২০২০ সালের ৮ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির দল ৮৩ শতাংশ আসনে জয়ী হয়। তবে সাংবিধানিকভাবে পার্লামেন্টের অন্তত ২৫ শতাংশ আসন পাওয়া সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতের অভিযোগ এনে ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। পহেলা ফেব্রুয়ারি নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম পার্লামেন্ট অধিবেশন ছিল। ওই দিনই সু চিসহ তার দলের নেতাদের গৃহবন্দি করে অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেয় সেনাবাহিনী।
সোমবার বার্তা সংস্থা সিনহুয়াতে বলা হয়, ‘সেনাবাহিনী নির্বাচিত মন্ত্রীদের পদ পরিবর্তন করছে।’ অভ্যুত্থান শব্দটি এড়িয়ে বলা হয়েছে, দেশটিতে ‘মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ রদবদল ঘটছে।’
কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমস, অজ্ঞাতনামা বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বলেছে, জেনারেলদের এই ক্ষমতা দখলকে ‘দেশের অকার্যকর শাসন কাঠামোর সমন্বয়’ বলা যেতে পারে।
চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সামারিক বাহিনীর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বরাবর দেশটির সেনাবাহিনীকে সমর্থন জানিয়েছে বেইজিং।