সেতু, কালভার্ট, সড়ক, মহাসড়ক ও অন্যান্য গুর“ত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি ¯’াপনা অথবা আবাসিক এলাকা হইতে সর্বনিম্ন ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু বা মাটি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানিকগঞ্জের কালীগঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে আশপাশের বসতবাড়ি, বিভিন্ন ¯’াপনা ধ্বংস করে বালু উত্তোলন করে চলছে রমরমা বালু ব্যবসা। এতে করে ঝুঁকির মুখে পড়েছে নদীর পাড়ের বসত বাড়ি ও বিভিন্ন ¯’াপনা। জানা যায়, সম্প্রতি অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিপনন রোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। এলাকাবাসী জানায়, ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের দুই শতাধিক বাড়িঘর, কয়েক শ’ বিঘা জমি, এক কিলোমিটার রাস্তা, একটি ব্রিজ ও মসজিদ ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে নদীপাড়ের অসংখ্য বাড়িঘর সহ বিভিন্ন ধরনের ¯’াপনা। স্পর্শকাতর ও বিপজ্জনক হওয়া সত্ত্বেও সরকার দলীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করে ড্রাম ট্রাকে যোগে বিক্রি করছে। এর আগে, কালীগঙ্গা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সহ ¯’ানীয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এরপরও বন্ধ হয়নি এসব অবৈধ ড্রেজার। সরেজমিন দেখা যায়, কালীগঙ্গা নদীর উত্তর তরা এলাকায় বেশ কয়েকটি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হ”েছ। উত্তোলন করা এসব বালু পাইপের মাধ্যমে আশপাশের এলাকার বসতভিটা, ছোট ছোট ডোবা নালা ভরাট করা হ”েছ। অপরদিকে বালু উত্তোলন করে নদীর পাশেই ¯‘প করে রেখে সেগুলো ড্রাম টাক যোগে সড়ক মহাসড়কের ক্ষতি করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হ”েছ। উত্তর তরা গ্রামের এক গৃহবধু নাম প্রকাশ না শর্তে বলেন, নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের কারণে আমাদের বসতভিটা ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলেই উল্টো আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। আবদুল আলিম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু-মাটি উত্তোলনের কারণে কিছুদিন আগে আমার বাড়ি নদীতে চলে গেছে। আমি এখন যেখানে বাড়ি করেছি, সেটিও ভাঙনের মুখে পড়েছে। আশপাশের এলাকার ক্ষতিগ্র¯’ মানুষ কালীগঙ্গা নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধ এবং অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ীদের দৃৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার বলেন, এসব অবৈধ ড্রেজারের বির“দ্ধে অতি শীঘ্রই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যব¯’া নেয়া হবে।