দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে নিজ জমিতে জিরো সেভেন জাতের আলু চাষ করে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে তরুণ কৃষক রানা হোসেন। জানা গেছে, তরুণ কৃষক রানা হোসেন দীর্ঘ দিন প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে নিজের দশ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের জিরো সেভেন জাতের আলু চাষ করেছেন। এই দশ বিঘা জমিতে আলু চাষে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। একনিষ্ঠ পরিশ্রম আর যত্নের ফলে আলু গাছের সবুজ পাতায় ভরে গেছে কৃষক রানার জমি। এখন বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধে আছেন তিনি। আলুর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দামের আশা করছেন কৃষক রানা হোসেন। এতে প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফেরার পর তার বেকারত্ব যেমন দূর হয়েছে তেমনি তার দেখাদেখি আলু চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে আশপাশের কৃষকেরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজের দশ বিঘা জমিতে জিরো সেভেন জাতের আলু চাষ করেছে কৃষক রানা হোসেন। তার পরিশ্রম আর যত্নে সবুজ আলুগাছে ভরে গেছে ক্ষেত। এ বছর অনুকুল আবহাওয়া থাকায় ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। কৃষক রানা হোসেন বলেন, বিদেশ থেকে দেশে ফিরে নিজের জমিতে আলু চাষের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত বছর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর স্থানীয় বাজার থেকে সার বীজ কীটনাশক এনে আলু চাষ শুরু করেন তিনি। দশ বিঘা জমিতে আলু চাষে সার বীজ কীটনাশক ও শ্রমিকসহ খরচ হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দিন প্ররিশ্রমের ফসল এখন ঘরে তোলার সময় হয়েছে। আশা করি আলুর ফলন ভালো হবে আর দামও ভালো পাবো।