নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই মহল্লার বখাটে কিশোরগ্যাংদের সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছে। গত রবিবার রাত ৭ টার দিকে মহানগরের ৩নং ওয়ার্ডে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে মাদানীনগর ও নয়াআটি মুক্তিনগর গ্রামবাসীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। চলছে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করার প্রস্তুতি। প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাস্থলের চা দোকানদার এসডু সরকার জানান, মাদানীনগর এলাকার ৩০ থেকে ৪০ জন লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মুক্তিনগর কবরস্থান এলাকায় এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মুক্তিনগর এলাকার নারী পুরুষসহ অর্ধশতাধিক লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টা হামলা করে। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হোসেন আনু জানায়, মাদানীনগর এলাকার তাহেরুল, খায়রুল, আব্দুল্লাহ, রাকিব, আল-আমিন, তুষার, বাহারুলসহ অজ্ঞাত বহু লোকজন হামলা করতে আসলে আমরা কয়েকজন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করি। এসময় শাহ আলমের মাথায় আঘাত করে ফাটিয়ে ফেলে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার নারী-পুরুষ ছুটে আসলে মারামারি শুরু হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, বখাটে কিশোরগ্যাং সদস্যরা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রি করছে। তাদের উশৃঙ্খলতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। মাদানীনগর এলাকার তাহেরুল বলেন, আমার স্ত্রী বাসায় ফেরার পথে মুক্তিনগর এলাকার হিমেল অপত্তিকর কথা বলে। স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনে আমি হিমেলকে জিজ্ঞেস করতে গেলে উত্তেজিত হয়ে উঠে। আমাদের উপর হামলা করে। ইভটিজিং করার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে হিমেল বলে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমাকে ডেকে নিয়ে তাহেরুল আমার পেটে ছুরিকাঘাত করে। কিন্তু আমি সরে যাওয়া ভাল করে লাগেনি। আমি দৌড়ে কবরস্থান এলাকায় চলে আসি। তখন সে দলবল নিয়ে সেখানে এসে হামলা করে। এ সংঘর্ষে মুক্তিনগর এলাকার শাহ আলম, হিমেল, জাকির, বিল্লাল, আলমগীর, খোকন, মহিউদ্দিন, সিয়াম, হাসিনা ও ময়না আর মাদানীনগর এলাকার আল-আমিন, তাহেরুল, রাকিব ও খায়রুল আহত হয়। তাদের মধ্যে শাহ আলম ও আল-আমিন গুরুতর। তাদের রাতেই নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল জানান, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে থানায় ফোন করি। পরে পুলিশ আসার পর দুই পক্ষই পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজল চন্দ্র মজুমদার জানান, ইভটিজিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।