মানিকগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় জেলহাজতে গেলেন স্বামী এস কে শফিকুল ইসলাম। গত ০২ জানুয়ারী শফিকুল ইসলামে স্ত্রী স্মৃতি আক্তার বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১(গ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৪/২১ইং। মামলা রুজু হওয়ার পরই পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী এস কে শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ৩ জানুয়ারী মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-০২ এ হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এস কে শফিকুল ইসলাম মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ এর প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক। জানা যায়, মানিকগঞ্জের গঙ্গাধরপট্টি এলাকার মৃত কাজীমুদ্দিনের পুত্র এস কে শফিকুল ইসলামের সাথে বিগত ২০০৫ সালে স্মৃতি আক্তারের বিয়ে হয়। শফিকুল-স্মৃতি দম্পতির ১৪ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে স্মৃতি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন পূর্বে তার স্বামী সিংগাইর উপজেলার বাইমাইল এলাকার আব্দুর রহিমের বিবাহিতা কন্যা ইমু সুলতানার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ইমু সুলতানা সিংগাইরের পারিল বাজার এলাকায় ওয়ার্কস এট কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারে (সি এইচ সি পি) কর্মরত। তার স্বামী জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন যাবত সৌদী আরবে অবস্থান করছেন। ইমু আক্তারের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। সিংগাইর এলাকায় বিদ্যুতের লাইনে ঠিকাদার হিসেবে কাজ করার সময় ইমু সুলতানার সাথে পরিচয় হয় শফিকুল ইসলামের। সেই থেকে তার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে শফিকুল ইসলাম। স্মৃতি আক্তার আক্ষেপ করে বলেন, এই ইমু সুলতানাই তার সংসার ধ্বংস করে দিয়েছে। তার স্বামী শফিকুল ইসলাম ইমু সুলতানার সাথে অবৈধ সম্পর্ক জানাজানি হবার পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও এপথ থেকে তাকে ফেরানো যায়নি। এ অবস্থায় কোন প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হন তিনি। এ বিষয়ে ইমু সুলতানা মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। শফিকুল ইসলামের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন তিনি।