পরিবেশ আইন লঙ্গণ করে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ফসলি ক্ষেত-খামারের (টপ সয়েল)উপরি ভাগের মাটি খনন করে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশর ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নিষিদ্ধ ট্রলি দিয়ে আনা নেয়ার সদ্য নির্মিত সড়ক ভেঙ্গে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। জানাগেছে,পরিবেশ আইন অনুযায়ী ফসলি জমির উপরি ভাগের মাটি (টপ সয়েল) বিক্রি করা দন্ডনীয় অপরাধ। উপজেলার ভাটরা উনিয়নের হীরাপুর গ্রামের বসতবাড়ীর পাশে ৬০০ বিঘা জমি রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬০টি ফসলি জমি থেকে প্রায় ১৫০ বিঘা জমির মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে ইটভাটায়। স্থানীয়রা মাটি বিক্রির প্রতিবাদ করলে মারধর ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন । সরেজমিনে দেখা গেছে,উপজেলা হীরাপুর ৬ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ির পাশে কয়েকটি ফসলি জমিতে মাটি কাটার চিত্র। প্রতিটি জমিতে ৩টি ভেকু মেশিন বসিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে অবৈধ ট্রলিতে ভরে এসব মাটি নিয়ে যাচ্ছে পাশ্ববর্তী ইটভাটায়। ভেকু চালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, গত দুইদিন যাবত তিনি ফসলি জমির কেনা মাটি কাটছেন। এ মাটি ট্রলিেেত ভরে নিয়ে যাচ্ছেন ইটভাটায় কামাল শেখ নামের এক ব্যক্তি। জানতে চাইলে মাটি ব্যবসায়ী কামাল শেখ বলেন, আমি জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি কিনে ইটভাটায় বিক্রি করে থাকি। মাটির ব্যবসা করা কি নিষিদ্ধ? ভাটরা ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠু বলেন, ইটভাটার কারণে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও কাজের কাজ কিছ্ইু হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমা বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি বা কেটে নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।