ক্ষুধা ও দারিদ্রমূক্ত সমাজ বিনির্মানে সেবা ও সুযোগ প্রান্তজনে প্রতিপাদ্য নিয়ে পাবনায় জাতীয় সমাজ সেবা দিবস’২০২১ শনিবার পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে সকাল সাড়ে এগারটায় পাবনা জেলা প্রশাসকের হলরুমে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা জেলা সমাজ সেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুল কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শাহেদ পারভেজ, বিশেষ অতিথি ছিলেন,সমাজ সেবা অধিফতরের সহকারী পরিচালক, মো. সানাউল ইসলাম, মো. আসাফুদ্দৌলা,প্রবেশন অফিসার পল্লব ইবনে শায়েখ, রেজিষ্ট্রেশন অফিসার শারমিন জাহান, শহর সমাজ সেবা অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার সদর মো. সিরাজুল ইসরাম শিশু পরিবারের উপ-তত্তাবধায়ক শিউলী রানী, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মো. হাশেম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্যে সহকারী পরিচালক সানাউল্লাহ বলেন, ১৯৪৭ সালে পাক-ভারত স্বাধীনের পর ভারত থেকে আগত সরনার্থীদের আগমনের ফলে উদ্ভুদ পরিস্থিতির কারনে জাতিসংঘের সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৫৫ সালে আরবান কমিউনিটি ডেভলম্যান্ট গঠন করা হয়। তখন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধিনে এ বোর্ড পরিচালিত হতো। এ সময় হাসপাতাল সমুহে সমাজ কল্যানপরিষদের মাধধ্যমেহাসপতাল সমাজ সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৬১ সালে সমাজ কল্যান পরিদফতর গঠন করে সমাজ সেবার যাত্রা শুরু করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ক্ষুধা ও দারিদ্র নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে শহর ও গ্রাম পর্যায়ে সমাজ সেবা কার্যক্রম চালু করেন। ১৯৮৪ সালে সমাজ কল্যান বিভাগ সমাজ সেবা অধিদফতরে যাত্রা শুরু করে। ১৯৯৭সালে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা চালুর মাধ্যমে সমাজ সেবা অধিদফতরকে মানুষের দোড় গোড়ায় পৌছে দেন। ২০১২ সালের ২ জানুয়ারী দিবসটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষনা দেয়া হয়। আলোচনা সভা শেষে ২৪জন ক্যান্সার-কিডনীসহ জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে চেক বিতরন করা হয়। এসময় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ভাতা, সুবর্ন নাগরিক কার্ড ও হুইল চেয়ারবিতরন করা হয়।