শরীয়তপুর-মাদারীপুর মহা সড়কের-আঙ্গারিয়া ব্রীজের পশ্চিম পাড় মোল্লা বাড়ীর মোড় থেকে রংয়ের বাজার,চন্দ্রপুর ভায়া গয়াতলা রাস্তা ও চন্দ্রপুর বাজার থেকে কাজীরটেক রাস্থার মৃধারমোড় পর্যন্ত রাস্তা নির্মান কাজে ধীরগতি ও নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারনে শিশু ও বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ ঠান্ডা ,কাশি,শ^াস কষ্ঠসহ নানা রোগে আক্্রান্ত হচ্ছে। তবে শরীয়তপুর সদও উপজেলা এলজি ইডির প্রকৌশলী বলছেন কার্পেটিং প্লান্ট মেশিন এর কারনে কাজ করতে দেরী হচ্ছে। অপর দিকে নিম্ন মানের সামগ্রীর কথা অস্বীর কার করে ঠিকাদর বলছেন মান সম্মত সামগ্রী দিয়েই কাজ করা হচ্ছে। শরীয়তপুর সদও উপজেলা এলজি ইডি অফিস ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর -মাদারীপুর মহা সড়কের-আঙ্গারিয়া ব্রীজের পশ্চিম পাড় মোল্লা বাড়ীর মোড় থেকে রংয়ের বাজার,চন্দ্রপুর ভায়া গয়াতলা রাস্তা ও চন্দ্রপুর বাজার থেকে কাজীরটেক রাস্থার মৃধারমোড় পর্যন্ত রাস্তা নির্মানে আর সি আই পি প্রকল্পে দুইটি প্যাকেজে প্রায় ১৫ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করে শরীয়তপুর সদও উপজেলা এল জি ইডি। গত ২০১৮ -১৯ অর্থ বছওে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে কাজ পায় যৌথ ভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হামিম ইন্টান্যাশনাল ও এল আর কে এল। ধীরগতিতে রাস্তা নির্মান কাজ করার কারনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তাই বার বার ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। এ চাড়াও নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বালি আর খোয় মিশিয়ে দীর্ঘ দিন কাজ ফেলে রাখার কারনে ধুলা বালি তে দেখা দিয়েছে এলাকার জন সাধারনের শ^াস কষ্ট সহ নানা রোগ ব্যাধি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ধুলার কারনে পায়ে হেটে চলাচল করা তো দুরের কথা যান বাহনে চলাচল ও কষ্টকর। কয়েক কিলোমিটার এলাকার রাস্তার দুই পাশে^র হাজার হাজার বাড়ী ঘরের নষ্ট হচ্ছে সবজি সহ বিভিন্ন ফল ফলাদির গাছ। তীব্র ধুলা বালির কারনে যাতায়াত করতে পারছে না সাধারন মানুষ। এতে করে চরম জন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে ঐ সব এলাকায়। তবে শরীয়তপুর সদও উপজেলা এলজি ইডির প্রকৌশলী বলছেন কার্পেটিং প্লান্ট মেশিন এর কারনে কাজ করতে একটু দেরী হচ্ছে। অপর দিকে নিম্ন মানের সামগ্রীর কথা অস্বীরকার করে ঠিকাদর বলছেন মান সম্মত সামগ্রী দিয়েই কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় দোকনদার মজনু মিয়া বলেন, ধুলা বালির কারনে আমরা আমাদের দোকানে বসে থাকতে পারছি না । আর ধুলা বালির কারনে কাস্টমার ও তেমন আসেনা। সারাদিন পানি দিলে ও তেমন লাভ হয়না। আবার শুকিয়ে যায়। রংয়ের বাজার এলাকার বাসিন্দা সুলতান মিয়া , বলেন , আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এ রাস্তার ধুলা বালির জন্য খুব বিপদে আছি । শ^াস কষ্টসহ নানা রোগের ভয়ে আমরা রাস্থায় বের হতে পারছি না। তুলাশার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন দেওয়ান বলেন ,মোল্লাবাড়ীর মোড় থেকে রংয়ের বাজার রাস্থার কিছু কাজ করার পর থেকে আর ঠিকাদারের কোন লোকজনওে দেখা মিলেনি। ইট বালু সহ খুবই নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যার ফলে জন দুর্ভোগ বাড়ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হামিম ইন্টান্যাশনাল এর স্বত্তাধিকারী আঃ ওয়াহাব মিয়া বলেন,২০২০ সালের মে মাসে ইট ,বালুর কাজ শেষ করেছি। তবে এখন ও কার্পেটিং কাজের অর্ডার আসেনি। এ কাজের নিয়ম হচ্ছে এক কিলোমিটার এ ইট বালুর কাজ শেষ হবে তার পর কার্পেটিং হবে। ঢাকা থেকে অর্ডার না আসায় আমরা কাজ করতে পারছি না। আমাদের কি করার আছে। আমাদের কাজের মান ভালো। শরীয়তপুর পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মুনিরুজ্জামান মনির বলেন , রাস্তা ঘাটের ধুুলা বালির কারনে শিশুদের শ^াস কষ্ট ,এ্যাজমাসহ নানা রোগের ভয় রয়েছে। শরীয়তপুর সদও উপজেলা এলজি ইডির প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন,শরীয়তপুর মাদারীপুর মহা সড়কের-আঙ্গারিয়া ব্রীজের পশ্চিম পাড় মোল্লা বাড়ীর মোড় থেকে রংয়ের বাজার,চন্দ্রপুর ভায়া গয়াতলা রাস্তা ও চন্দ্রপুর বাজার থেকে কাজীরটেক রাস্থার মৃধারমোড় পর্যন্ত রাস্তা নির্মানে আর সি আই পি প্রকল্পে দুইটি প্যাকেজে কাজ চলমান রয়েছে। কার্পেটিং প্লান্ট মেশিন এর কারনে কাজ করতে দেরী হচ্ছে। তবে ঠিকাদার অতিরিক্ত সময় নিয়েছেন