রাজধানীর জাতীয় চিত্রশালায় ১,৩,৫,৬ ও ভাস্কর্য গ্যালারিতে চলছে মাসব্যাপী ‘২২তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী-২০২০’ বিশেষ কিউরেটোরিয়াল প্রকল্প। ৩০ নভেম্বর থেকে এটি শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের ১২টি শিল্পশিক্ষা-প্রতিষ্ঠান থেকে কিউরেটিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চারুকর্ম প্রদর্শনের এক বিরল ও যুগান্তকারি পদক্ষেপ নিয়েছে।প্রদর্শনীতে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র চারুকলা অনুষদ ‘সৃষ্টির সিঁড়ি’ শিরোনামে মাসব্যাপী এ শিল্পকর্ম অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। গতকাল বিকেল ৪টায় জাতীয় চিত্রশালায় এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সরাসরি অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের। অনুষ্ঠানে সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন এবং বরেণ্য চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম।প্রদর্শনীতে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ট এন্ড পেইন্টিং বিভাগ, চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক শিল্পী মোস্তাফিজুল হক, আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আহমেদসহ উর্ধতন কর্মকর্তা ও কিউরেটর দেওয়ান মিজানসহ বিভিন্ন শিল্পীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রদর্শনীতে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিল্পীবৃন্দ গুহামানবদের টিকে থাকার নিদারুন আকাঙ্খাগুলো বিবিধ নকশার পৃথিবী তৈরি করেছে, সেই বাস্তব দৃশ্যই পৌরনিক পারফর্মেন্সের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকবৃন্দ মুগ্ধতায় এই পারফর্মেন্সে উপভোগ করেন।
চলমান এই প্রদর্শনীর এবারের বিষয় বৈচিত্র নিয়ে কথা বলেন শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান বরেণ্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক। তিনি এবারের ২২তম প্রদর্শনীকে বিষয় বৈচিত্রে কিছুটা ব্যাতিক্রম উল্লেখ করে বলেন, ‘এ বছর শিল্পকলা একাডেমী চলমান পেন্ডামিক পরিস্থিতির কারনে খুব বিস্তৃতভাবে এটা না করে প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ তথা আর্ট কলেজকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছে।
এবারের সৃষ্টিশীল চমৎকার এ উদ্যোগ একইসাথে নবীন চারুশিল্পীদের জন্য একটি বৃহৎ প্লাটফর্ম এবং নতুন কিউরেটর সৃষ্টির অনন্য প্রয়াসেরই নামান্তর বলা যায়। এবার নতুন কিউরেটরদের মাধ্যমে নবীন চারুশিল্পীদের চারুকলা প্রদর্শনীর পাশাপাশি কিউরেটেড গ্যালারিতে চারুকর্ম উপস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের ১৪টি ইন্সটিটিউটকে একই ছাতার নিচে নিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের চারুশিল্পের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক, উজ¦ল উদাহরণ। শিল্পকলা একাডেমীর এই প্রয়াস নানাদিক থেকেই অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।’