আসন্ন উলানিয়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে হত্যা মামলার আসামি ও বিএনপি পরিবারের লোককে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ। বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আতাত করা কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতার সন্ত্রাসী হামলায় লালগঞ্জে আহত হয়েছে উলানিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নাসির উদ্দিন চুন্নু, সাধারণ সম্পাদক রাকিব সরদার, যুবলীগ নেতা বিপ্লবসহ আরও অনেকে। শনিবার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পৌর আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক রিপন দেবনাথের স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন পংকজ নাথ। তিনি বলেন, এ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেনের মার্কেটে লুটকারী বিএনপি নেতাকে জেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো: ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে সংসদ সদস্য পংকজ নাথ বলেন, বরিশালের অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেনের ভাই ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর-৩২ নম্বর বাসায় ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী। তার পরিবারের সম্পত্তিতে যারা হামলা করেছে সেই বিএনপি পরিবারের কাজী আব্দুল হালিম চৌধুরী মিলনের নাম পাঠিয়ে আপনি এবার ফাঁদে পা দিয়েছেন। আর উত্তরের নৌকার প্রার্থী নূরুল ইসলাম জামাল মোল্লা হত্যা মামলার প্রধান আসামী। একইসঙ্গে তিনি ৩ জন হিন্দু নারীর সঙ্গে কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ। ২৩ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য মিলন ও জামাল মোল্লাকে আল্টিমের্টাম দিয়ে এ বিষয়ে নীতিনির্ধারনী মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক। জগন্নাথ হলের সাবেক জিএস পংকজ নাথ অভিযোগ করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ওয়াদুদ হাওলাদের সাক্ষর জাল করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মইদুল ইসলামের সাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান পংকজ নাথ। জামাল মোল্লার পরিবার জাতীয় পার্টির আমলে মইদুল ইসলামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে বলেও দাবি করেন পর পর দুই বারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ। আর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মুনছুর আহমেদের সমালোচনা করে পংকজ নাথ বলেন, তার শ্যালক এখনো উলানিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান খান মিরাজ। আরেক শ্যালক যুবদল নেতা মিল্লাত খান। শ্বশুর সৈয়দুজ্জামান বিএনপি নেতা ছিলেন। পৌর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক রিপন দেবনাথের স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ভুলু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজ উল আলম লিটন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, প্রচার সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক রাকিব মাহামুদ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাকির হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।