পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর। কোনও পুলিশ সদস্য অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। বাংলাদেশ পুলিশে দুর্নীতিবাজদের কোনও জায়গা নেই। পুলিশ হবে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত।’ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাজারবাগের পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের দ্বিতীয় দিনে সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট এবং ইন্সপেক্টরদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশও বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক এগিয়েছে।
মানুষকে সেবা দেওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের মনোজগৎ ও আচরণের পরিবর্তন দরকার। মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা থেকে সচেতনভাবে বেরিয়ে আসতে হবে। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। মানুষের ওপর শারীরিক শক্তি প্রয়োগ না করে আইনি সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে।
আইজিপি বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে, তাদের উপকার করলে মানুষ তা মনে রাখে। প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করে। করোনাকালে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের মনোভাব এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, নিজের কাজকে ভালোবাসতে হবে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে পুলিশের মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
পুলিশ সদস্যদের কল্যাণের কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, প্রচলিত কল্যাণ ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে ন্যায় ও ন্যায্যভাবে পুলিশ সদস্যদের কল্যাণের ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমান করোনাকালে পুলিশের চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আরও আধুনিকায়ন করা হবে। দেশের আটটি বিভাগে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। পুলিশ মেডিক্যাল সার্ভিস প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা জানান, ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, এসবি প্রধান মীর শহীদুল ইসলাম, সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।