প্রধানমন্ত্রী ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ৯টি জাহাজ এবং ০১টি ঘাঁটি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। এর ফলে বাহিনীর বহরে সংযোজিত জাহাজসমূহও ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অপারেশনাল ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় জলসীমানার অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় সক্রিয় উপ¯ি’তি ও সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরত দেশের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে অদ্যবধি এ বাহিনী সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ, উপকূলীয় অঞ্চলে চোরাচালান দমন, মাদকদ্রব্য পাচার নিয়ন্ত্রণ, বনজ সম্পদ সংরক্ষণ, সমুদ্র ও নদী সংলগ্ন এলাকায় পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জাটকা ও মা ইলিশ নিধন প্রতিরোধ এবং মানব পাচার প্রতিরোধে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর জন্য ইতালি হতে ক্রয়কৃত সর্বমোট ৪টি অফশোর প্যাট্রোল ভেসেলের মধ্যে বিসিজিএস সৈয়দ নজরুল ও বিসিজিএস তাজউদ্দিন ইতোমধ্যেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাশে সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ১২ জানুয়ারি ২০১৭ কমিশন করেছেন। অদ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপর দুইটি অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল (বিসিজিএস মনসুর আলী ও বিসিজিএস কামরুজ্জামান) কমিশন করেন। ৮৭ মিটার দীর্ঘ জাহাজ দুইটিতে অত্যাধুনিক কামান ছাড়াও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জাম রয়েছে। বাংলাশে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সরকারী প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জ ও খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ০৫টি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল বিসিজিএস সবুজ বাংলা, শ্যামল বাংলা, সোনার বাংলা, স্বাধীন বাংলা ও অপরাজেয় বাংলা এবং দুটি ফাস্ট প্যাট্রোল বোট বিসিজিএস সোনাদিয়া ও কুতুবদিয়া আজ এ বাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে। উক্ত জাহাজগুলো কোস্ট গার্ড বহরে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে বহিঃনোঙ্গরে বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি রোধের পাশাপাশি সমুদ্রপথে মানব ও মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ সমুদ্র সীমানায় টহল প্রদানে সক্ষম হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কোস্ট গার্ড এর সার্বিক কার্যক্রম সহায়তার লক্ষ্যে ভোলা জেলায় ‘বিসিজি বেইস ভোলা’ নামে একটি ঘাঁটিরও উদ্বোধন করেন। নতুন এ ঘাঁটির উদ্বোধন দক্ষিণ জোনের অপারেশনাল কার্যক্রমকে বেগবান করবে বলে আশা করা হ”েছ। কমিশনিং অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে যুগপোযোগী ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে গভীর সমুদ্র নির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল ও নিরাপদ রাখা এবং উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা রক্ষায় এ বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে গভীর সমুদ্র সম্পদের অন্বেষণ, আহরণ ও সংরক্ষণ এবং ব্লু- ইকোনমি-কে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে কোস্ট গার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।