সরকারি আইন নয় বরং সেকমো, পরিদর্শিকা ও পরিদর্শকের নিজেদের আইনেই চলছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র। নিজেদের ইচ্ছামত অফিসে আসা, রোগী সেবা না দেওয়া, ডেলিভারীতে অর্থ আদায় করা, আইন বর্হিভূত সরকারি কোয়াটারে অপরিচিতদের থাকতে দেওয়াসহ সকল অনিয়মই নিয়মে পরিনত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারিভাবে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা জরুরী প্রসূতি সেবা প্রদান সহ প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রোগী সেবা দেওয়া কথা থাকলেও কেন্দ্রটি খোলা হয় দিনের ১১টার পরে। ভিজিটর শাহেদা আক্তার আসেন ১১টার পরে। উপ-সহকারী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা কামরুজাম্মান আসেন ১২টার পরে। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক জসিম উদ্দিন প্রতিদিন সকালে এসে হাজিরা দিয়ে মাঠে যাওয়ার কথা থাকলেও আসেন মাসে ২ দিন। অনিয়মিত অফিসে আসার কারণে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও সরকারি কোয়ার্টারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অপরিচিত পরিবারকে থাকার অনুমতি দিয়েছেন সেকমো কামরুজাম্মান। এতে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে সরকারি মালামালসহ এই ভবনটি। সরেজমিনে আরো দেখা যায়, অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্ন এই কেন্দ্রটিতে নিয়মিত রোগী সেবা না দেওয়াতে ডেলিভারীর সংখ্যাও কম। চারদিকে ময়লা, আবর্জনা ও অঘোছালো পরিবেশের এই কেন্দ্রটি যেন পরিত্যাক্ত একটি ভবন। জরুরী সময়ে ফোন করেও না পাওয়ায় রোগীদের যেতে হয় প্রাইভেট ক্লিনিক বা সদর হাসপাতালে। অভিযোগ আছে ভিজিটর শাহেদা থাকেন ৮ কিলোমিটার দুরে নিজের বাড়িতে। অফিস সময়ের পরে কেউ ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়না। পরিদর্শক জসিম উদ্দিন অফিসে না এসে একত্রে হাজিরা দিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এছাড়াও ওয়ার্ড পর্যায়ে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পরিবার কল্যান সহকারীদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার কথা থাকলেও তিনি নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। নিয়মিত অফিসে না এসেও বেতন নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এই কেন্দ্রের সেকমো কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। দুপুরে এসে আবার কিছুক্ষন পরে চলে যান তিনি। সরকারিভাবে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও এই ৩জনের অনিয়মের কারণে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা: আশফাকুর রহমান মামুন বলেন, নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।