গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চোরাই গরু বিক্রয় করে দেড় লক্ষাধিক টাকা আত্নসাতের অভিযোগের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে আমিন মডেল টাউনের মার্কেটিং সহকারী সাইদুর রহমান বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার চাতৈলবিটি এলাকার সবুর উদ্দিনের ছেলে লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি পোলট্রি মুরগি বিক্রেতা থেকে শুরু করে গরু চুরি, ট্রাকসহ গরু ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছে। পরে সেসব চোরাই গরু কম দামে স্থানীয় লোকজনের কাছে ও বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে লোকমান। এভাবেই তিনি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিণত হয়েছেন। সর্বশেষ লোকমানসহ তার সহযোগীরা নরসিংদীর রায়পুর থানায় ট্রাকসহ গরু ছিনতাই করে। ওই মামলার আসামী ধরতে গত ৫ নভেম্বর রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অভিযান চালিয়েছে রায়পুর থানা পুলিশ। অভিযান চালিয়ে উপজেলার চাতৈলবিটি আমিন মডেল টাউনে লোকমানের বাসা থেকে সেলিম, আরিফ খান সুইট ও শামীম নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু ওই চক্রের মুলহোতা লোকমান কৌশলে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এসময় সেখান থেকে চুরি, ছিনতাই ৫টি গরু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত গরুর মধ্যে তিনটি গরু গত ১ মাস আগে চোরের মুলহোতা লোকমানের কাছ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন আমিন মডেল টাউনের মার্কেটিং সহকারী সাইদুর রহমান। গরুগুলো জব্দ হওয়ার পর ওই ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয় চোরের মুলহোতা লোকমান। এ ঘটনায় আমিন মডেল টাউনের মার্কেটিং সহকারী সাইদুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে লোকমান হোসেনকে আসামী করে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আমিন মডেল টাউনের মার্কেটিং সহকারী সাইদুর রহমান জানান, লোকমানের কাছ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় তিনটি গরু কিনেছিলাম। সে চোরাই গরু বিক্রি করে ওই টাকা আত্নসাত করেছে। সে গরুসহ মোট ৫টি চোরাই গরু পুলিশ জব্দ করে নিয়ে গেছে। এখন ওই টাকা ফেরত চাইলে লোকমান নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। অভিযুক্ত লোকমান হোসেন জানান, আমার বিরুদ্ধে গরু চুরি ও ছিনতাইয়ের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা মিথ্যা। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, চোরাই গরু বিক্রি করে টাকা আত্নসাতের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।