সাকিব আল হাসান দেশে ফেরার ১০ ঘণ্টা না পেরোতেই শুক্রবার গিয়েছিলেন একটি সুপারশপ উদ্বোধন করতে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। বিদেশ থেকে এসে স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী করোনা পরীক্ষা করানোর কথা তাঁর। কিন্তু তার আগেই সুপারশপটি উদ্বোধন করতে গিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মাত্রই আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাওয়া সাকিব। তবে কাল বিকেলে নিজ বাসভবনে তিনি করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে তাঁর পারিবারিক সূত্রে। পরীক্ষার ফল পাওয়ার কথা আজ।করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে ৯ নভেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের জন্য ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়ার কথা সাকিবের। টুর্নামেন্টের ড্রাফটে নাম তুলতে হলে তাঁকে ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করতে হবে। বিমানবন্দরে ৩৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার নিজের ফিটনেস নিয়ে বলছিলেন, ‘অবশ্যই যে অবস্থানে ছিলাম, সে অবস্থানে নেই। মাঝে যখন অনুশীলন করছিলাম, তখন ভালো একটা অবস্থানে চলে এসেছিলাম। যেহেতু এক মাসের বিরতি পড়েছে, স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। তবে এই টুর্নামেন্ট পুরোটা শেষ হতে হতে আমার ধারণা, ফিটনেস ফিরে পাব।’
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানের বিশ্বাস—সাকিব ভালোভাবেই উতরে যাবেন ফিটনেস পরীক্ষা। আজ তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ফিটনেসের একটা মানদণ্ড আছে। সেটা সবাইকে পেতে হবে। ও যেহেতু খেলার বাইরে ছিল, নিশ্চয়ই ফিটনেস নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। এটা নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই।’গত মার্চে মহামারির শুরুতে সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে চলে গিয়েছিলেন। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে সময় কাটিয়ে দেশে ফেরেন সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই পুরোনো গুরু নাজমুল আবেদীন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করেন এক মাস। এই এক মাসে সাকিব যে পরিশ্রম করেছেন, তাতে মুগ্ধ তাঁর দুই কোচ। সাকিব প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে। শ্রীলঙ্কা সিরিজ না হওয়ায় সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আবার চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। অক্টোবর মাসটা সেখানে কাটিয়ে বৃহস্পতিবার ফিরেছেন দেশে। সাকিবের আফসোস, বিকেএসপির প্রস্তুতিটা যদি আরও চালিয়ে যেতেন, তাহলে ফিটনেসের দিক দিয়ে আরও ভালো অবস্থানে থাকতে পারতেন।