সিলেট নগরীতে বাস্তবায়নাধীন বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কারণে ধুলোয় কাদায় বিপর্স্ত নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাফেরা । সড়কের ধুলোবালির কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে নগরীর অধিকাংশ এলাকায় সড়কের পাশে ফেলে রাখা ড্রেনের নির্মাণকাজে খোঁড়া কাদামাটি ও আবর্জনা থেকে সৃষ্ট ধুলোয় বিপর্যস্ত নগরের মানুষ। বাতাসে ধুলোর দূষণ বন্ধে নিয়মমাফিক পানি ছিটানোর কথা থাকলেও মানছেন না প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ধুলোবালির কারণে শ্বাসযন্ত্রে ইনফেকশনে বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ধুলোবালির দূষণ মানবশরীরে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। আর পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, মানমাত্রার বাইরে ধুলোর দূষণ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা যায়, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। একই সাথে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নগরীর কিছু এলাকার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ভূগর্ভস্থ করা হচ্ছে। তারের জঞ্জাল থেকে নগরীকে মুক্ত করতে দেশে প্রথমবারের মতো প্রকল্পটি গ্রহণ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। বিদ্যুৎ ছাড়াও স্যাটেলাইট, ইন্টারনেট, টেলিফোনসহ প্রায় সব ধরনের কেবল মাটির নিচে সঞ্চালন করা হয়েছে। নগরীর আম্বরখানা থেকে চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার হয়ে কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত এবং চৌহাট্টা থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ এবং শাহজালালের (রহ.) মাজারের সামনে পর্যন্ত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। তাছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। পুরো নগরীতেই চলছে এসব প্রকল্পের কাজ। সমন্বয়হীনতার কারণে ধীরগতিতে চলছে এসব উন্নয়ন কাজ। এমনকি একই কাজ একাধিকবার করারও অভিযোগ রয়েছে। এতে এসব প্রকল্পের নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করছে নগরজীবনে। যার একটি ধুলোর দূষণ। পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন নবচেতনাকে বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আগাম ছাড়পত্র নিয়েই উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হয়। । উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নকারীদের উচিত প্রতিদিন দুই বেলা রাস্তায় পানি ছিটানো। তাহলে নগরীতে ধুলোবালি উড়বে কম। এরপরও পরিবেশ আইন ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান নবচেতনাকে বলেন, ‘চলমান প্রকল্পগুলোর কারণে যেখানে ধুলোর দূষণ হচ্ছে সেখানে নিয়মিত পানি ছিটানোর জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে আমরা চিঠি দিয়েছি। দিনে তিনবার করে পানি ছিটানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা এ নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’