পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় বললেন মারলন স্যামুয়েলস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের এই অভিজ্ঞ সেনানীর বিদায়ের সঙ্গে জড়িয়ে রইলো বাংলাদেশের নামটি। সর্বশেষ যে টাইগারদের বিপক্ষেই খেলতে দেখা গিয়েছিল তাকে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।‘ক্রিকইনফো’কে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ জানিয়েছেন, চলতি বছরের জুনেই অবসরের বিষয়টি বোর্ডকে অবহিত করেন স্যামুয়েলস। অবশেষে সেটা প্রকাশ্যে আসলো।৩৯ বছর বয়সী স্যামুয়েলস ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৭১টি টেস্ট, ২০৭ ওয়ানডে আর ৬৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ১৭ সেঞ্চুরিসহ করেছেন ১১ হাজারের বেশি রান। আছে বল হাতে ১৫২ উইকেটও।তবে স্যামুয়েলসের ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অধ্যায়, দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া। দুটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে ম্যাচসেরা হওয়ার অনন্য কীর্তি নেই আর কারও।
২০১২ বিশ্বকাপের ফাইনালে লাসিথ মালিঙ্গা, অজন্থা মেন্ডিসদের দুমড়ে মুচড়ে ৫৬ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন স্যামুয়েলস। বল হাতেও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রানে নেন ১ উইকেট।এর চার বছর পর ২০১৬ বিশ্বকাপের ফাইনালেও স্যামুয়েলসের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ বলে ৮৫ রানের ইনিংস। টানা চার ছক্কায় দলকে জেতানোয় কার্লোস ব্র্যাথওয়েট বীর বনে গেলেও স্যামুয়েলসের ওই ইনিংস না হলে হয়তো জয়ের স্বপ্নটাই দেখতে পারতো না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।খেলার বাইরে নানা বিতর্কেও জড়িয়ে ছিল স্যামুয়েলসের নাম। ২০১৪ সালে পারিশ্রমিক সংক্রান্ত জটিলতায় ভারত সফরের মাঝপথেই হুট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ফিরে এসেছিলেন, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে টেবিলের ওপর দুই পা তুলেও সমালোচনা কুড়িয়েছিলেন।এছাড়া বিগ ব্যাশে শেন ওয়ার্নের দিকে ব্যাট ছুঁড়ে মারা, বেন স্টোকসের সঙ্গে ঝগড়া এবং আরও নানা বিতর্ক স্যামুয়েলসের খেলোয়াড়ি জীবনকে রেখেছিল অন্যরকম আলোচনায়।