সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে থাকা এএসআই আশেক- ই এলাহি জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (৩১ অক্টোবর) তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) খালেদ উজ জামান। তিনি জানান, শনিবার আশেক- ই এলাহি জিজ্ঞাসাবাদের সময় হঠাৎ করেঅসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার বুকে ব্যথা শুরু হয়। পরে থাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। একইসাথে তার উচ্চ রক্তচাপও ধরা পরে। বর্তমানে তিনি সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন জানিয়ে পিবিআইয়ের এ কর্মকর্তা বলেন, এখনো তারা শারীরিক অবস্থা খারাপ। তার রক্তচাপ এখনো বেড়েই আছে। রায়হান আহমদকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এএসআই আশেক- ই এলাহিকে গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ২৮ অক্টোবর রাতে পুলিশ লাইন্স থেকে আশেক-ই এলাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। রায়হান হত্যার পর তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এদিকে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।সোমবার ২ নভেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানানো হয়। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী। অন্যদিকে ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী সৈয়দ ফজলে এলাহী। এর আগে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে গত ১২ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট আবেদন (রিট নম্বর-৭১৩২/২০২০) করেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমদ। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইজিপি, সিলেটের পুলিশ কমিশনার, সিলেটের জেলা প্রশাসক, এসপিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। এই রিট আবেদনে নিজেকে আবেদনকারী হিসেবে বিবেচনা করতেই (পক্ষভুক্ত) হাইকোর্টে আবেদন দিয়েছেন রায়হানের মা সালমা বেগম। আদালত এ বিষয়ে সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। রায়হানের মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ওই রিট আবেদন করা হয়।