টেলিভিশনে কাজ করা সংবাদকর্মীদের সাংবাদিক হিসেবে আইনে স্বীকৃতি নেই বলে জানিয়েছেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও টিভি ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী টেলিভিশন সংবাদ কর্মীরা কোম্পানী আইনে মালিকের কর্মচারী। এ কারণে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হলে পত্রিকার সাংবাদিকদের মতো বেতন-ভাতা পাওয়ার দাবিতে আইনি লড়াইয়ে যেতে পারেন না। তাদেরকে কোম্পানী আইনে লড়তে হয়। তাই অবিলম্বে সম্প্রচার আইন পাস করে টেলিভিশন সাংবাদিকদের এ সংকট নিরসনের পক্ষে মত দেন এ সাংবাদিক নেতা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউর রজতজয়ন্ত্রী উপলক্ষে স্মারক বক্তৃতা ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতার সংকট ও সম্ভাবনা : বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক প্রবন্ধে এসব কথা বলেন মনজুরুল আহসান বুলবুল। সেমিনারে ভার্চুয়ালি অংশ নেন তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সিনিয়ির সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শাহজাহান সরদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাভিশনের বার্তা প্রধান আব্দুল হাই সিদ্দিক, ডিআরইউর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ। এদিকে একই হলে দুপুর আড়াইটায় আরেকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘সাংবাদিকতায় নারীর চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউজ ২৪ এর প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী। বেশাখী টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাবেরী গায়েন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রূপা, বাংলা ভিশনের বার্তা সম্পাদক শারমিন রিনভী, বেশাখী টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রিতা নাহার প্রমুখ।শাহনাজ মুন্নী তার প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশে ৮৪ শতাংশ সাংবাদিক পুরুষ। আর নারী ১৬ শতাংশ। অন্যদিকে টেলিভিশন ও বেতারে সংবাদ উপস্থাপনায় ৬৬ শতাংশ নারী। আর পুরুষ ৩৪ শতাংশ। অর্থাৎ নারীকে ভাবা হয়-সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই উপস্থাপনায় নারীকে অগ্রাধিকার দেয়া হলেও রিপোটিং বা ডেস্কে সেটা করা হয় না। এমনকি নারীর বয়স ভারী হলে তাকে ভাবা হয় অযোগ্য। আর পুরুষ কর্মীকে ভাবা হয় অভিজ্ঞ। সংবাদ উপস্থাপনার এসব নারীর বেশিরভাগই পেশাদার সাংবাদিক নন। ব্যাংক,চিকিৎসক,পাইলট বা অন্য কোন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠাননের যুবতী নারীদের বেছে নেয়া হয় সংবাদ পাঠের জন্য। ফলে পেশাদার নারীদের সাংবাদিকতায় অংশগ্রহণ বাড়ছে না।