নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অবৈধ অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন সক্রীয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১’র সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই রাউন্ড কার্তুজসহ একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড সীসা কার্তুজসহ দেশীয় তৈরি একটি পাইপ গান, একটি ছোড়া, একটি চাপাতি ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র্যাব-১১’র সদর দপ্তর থেকে অধিনায়ক লে: কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম, পিবিজিএম, পিবিজিএমএস স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, লক্ষীপুর জেলার কমলনগর থানার পশ্চিম চরসিতা এলাকার সুমন (৩০), একই জেলার সদর থানার চর সেকেন্দর এলাকার রাজু (২৪) ও একই জেলার রামগতি থানার পূর্বচর কলাকোপা এলাকার মিজানুর রহমান (৩২)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১টায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১’র সিপিএসসির একটি আভিযানিক দল বন্দর থানার কেওঢালা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান থামিয়ে ডাকাতি করার প্রস্তুতি গ্রহণ করার অপরাধে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিনজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কে রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান শিপমেন্টের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে কাভার্ডভ্যান থামিয়ে লুটতরাজ ও ডাকাতি করে আসছিল। তাদের এসকল ডাকাতির ফলে গার্মেন্টস মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতো এবং সময়মতো শিপমেন্ট দিতে না পারায় বিদেশী ক্রেতাদের নিকট দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতো। এ সকল সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে র্যাব-১১’র একটি বিশেষ দল গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার সময় ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণকালে অবৈধ অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় হাতে-নাতে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও র্যাব নিশ্চিত করেছে।