বাগেরহাটে পূজা দেখে ফেরার পথে ২২ বছর বয়সী এক তরুনীকে ধর্ষনের অভিযোগে শেখ মিজানুর রহমান (৩৫) নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তরুনী একজন গার্মেন্টস কর্মী। তার করা ধর্ষণ মামলায় ওই তরুনীর শ্লিলতাহানীর অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নির্যাতনের শিকার ওই তরুনী মামলা দায়ের করার পর বাগেরহাট সদর উপজেলার বাকপুরা ও হদেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার শেখ মিজানুর রহমান বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং বাকপুরা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে। শ্লিলতাহানীর অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার চিন্তারখোড় গ্রামের অমল মৃধার ছেলে বিকাশ মৃধা(১৯), নারায়ন চন্দ্র সরকারের ছেলে সুকান্ত সরকার (৩২), অসীম বিশ্বাসের ছেলে বিধান বিশ্বাস (২৮) এবং মোঃ আনোয়ার ফকিরের ছেলে মোঃ সোহেল ফকির (২৩)। জানা যায়, মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নির্যাতনের শিকার ওই তরুনী ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল থেকে বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন মন্ডপে পূজা দেখে যাত্রাপুর বাজারে হালকা নাস্তা করে রাতে ভ্যানযোগে বাড়ি রওনা দেয়। রাত দশটার দিকে বাকপুড়া মোড়ে পৌছালে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানতে চায় এত রাতে কোথা থেকে আসছিস? এর পর তরুনীকে ভ্যান থেকে নামিয়ে রাখে। ভয়ভীতি দেখিয়ে বাকপুড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবনের পিছনে নিয়ে ধর্ষণ করে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান। পরে রাত পৌনে ১২ টার দিকে ওই তরুনীকে চিন্তিরখোড় এলাকায় রেখে চলে যায় মিজান। মেয়েটি একা একা রাস্তাদিয়ে হাটতে থাকে। রাত ১২টার দিকে বিকাশ মৃধা, সুকান্ত সরকার, বিধান বিশ্বাস, মোঃ সোহেল ফকিরসহ কয়েকজন হদেরহাট বাজারস্থ আবুল হোসেনের বিল্ডিংয়ের পিছনে নিয়ে শ্লিলতাহানী ঘটায়। নির্যাতিত মেয়েটির বাবা-মা বলেন, এক বছর আগে আর্থিক কষ্টে মেয়েকে গার্মেন্টসে কাজ করতে ঢাকায় পাঠাই। পূজার ছুটিতে মেয়ে বাড়িতে আসছিল। বন্ধুদের সাথে মা দূর্গাকে দেখতে যাওয়াই কাল হল আমার মেয়ের। আমাদের মেয়ের উপর নির্যাতনের বিচার চাই। বাগেরহাট পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, মামলা দায়েরের পর আমরা তরুনীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে এবং শ্লিলতাহানীর অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।