দ্রুত করোনার নমুনা পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন কিট ব্যবহারে সরকার কঠোর শর্ত আরোপ করেছে। বিদেশ থেকে আনতে হলে, তা মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান-এফডিএ অনুমোদিত হতে হবে। এই বাধ্যবাধকতার কারণে শর্ত মেনে অ্যান্টিজেন কিটের ব্যবহার প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
অথচ গত সেপ্টেম্বরে দেশে আরটিপিসিআর টেস্টের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় বিদেশি অনুদানের কিট এনে এর উপযোগিতা পরীক্ষায় অনেকটা এগিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। কিন্তু সেই কিটও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়- এমন মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।
দেশে স্বল্প সময়ে করোনা পরীক্ষার ফল পেতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
অন্যদিকে দেশে এখনও কোনো অ্যান্টিজেন কিটের অনুমোদন দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। দুই সংস্থার মাঝে পড়ে এখনও অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হচ্ছে না।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হবে। বর্তমানে দেশে আরটিপিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে এটা শনাক্ত হচ্ছে। বর্তমান পদ্ধতি সংক্রমণ শনাক্তে বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। তবে এতে নমুনা সংগ্রহের পর ফল পেতে বেশ সময় লেগে যায়। সেখানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় আধা ঘণ্টার মধ্যে জানা যায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে কিনা। যেসব জেলায় আরটিপিসিআর ল্যাব নেই সেসব জেলায় আগে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদেরও এই পরীক্ষা করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের বড় বড় মেডিকেল কলেজে যেখানে জরুরি সেবা চালু আছে সেখানে রোগীকে দ্রুত পরীক্ষা করে ফল জানানো দরকার। এখন এজন্য এক সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করতে হয়। এতে হাসপাতালে থেকেই রোগীরা সংক্রমিত হয়ে যায়। এ কারণে সেখানেও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু হবে।
তিনি বলেন, এ পরীক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে ২ লাখ কিট দু-একদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে তারা আশা করছেন। আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সিএমএসডির মাধ্যমে আরও দুই লাখ কিট সংগ্রহ করছি। এগুলো এখনও হাতে এসে পৌঁছেনি। এছাড়া ইউএনএফপিএ থেকে আমাদের ১০ লাখ কিট দেয়ার রাশেদ রাব্বি
দ্রুত করোনার নমুনা পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন কিট ব্যবহারে সরকার কঠোর শর্ত আরোপ করেছে। বিদেশ থেকে আনতে হলে, তা মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান-এফডিএ অনুমোদিত হতে হবে। এই বাধ্যবাধকতার কারণে শর্ত মেনে অ্যান্টিজেন কিটের ব্যবহার প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
অথচ গত সেপ্টেম্বরে দেশে আরটিপিসিআর টেস্টের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় বিদেশি অনুদানের কিট এনে এর উপযোগিতা পরীক্ষায় অনেকটা এগিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। কিন্তু সেই কিটও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়- এমন মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।
দেশে স্বল্প সময়ে করোনা পরীক্ষার ফল পেতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। অন্যদিকে দেশে এখনও কোনো অ্যান্টিজেন কিটের অনুমোদন দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। দুই সংস্থার মাঝে পড়ে এখনও অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হচ্ছে না।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হবে। বর্তমানে দেশে আরটিপিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে এটা শনাক্ত হচ্ছে। বর্তমান পদ্ধতি সংক্রমণ শনাক্তে বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। তবে এতে নমুনা সংগ্রহের পর ফল পেতে বেশ সময় লেগে যায়। সেখানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় আধা ঘণ্টার মধ্যে জানা যায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে কিনা। যেসব জেলায় আরটিপিসিআর ল্যাব নেই সেসব জেলায় আগে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদেরও এই পরীক্ষা করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের বড় বড় মেডিকেল কলেজে যেখানে জরুরি সেবা চালু আছে সেখানে রোগীকে দ্রুত পরীক্ষা করে ফল জানানো দরকার। এখন এজন্য এক সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করতে হয়। এতে হাসপাতালে থেকেই রোগীরা সংক্রমিত হয়ে যায়। এ কারণে সেখানেও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু হবে।
তিনি বলেন, এ পরীক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে ২ লাখ কিট দু-একদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে তারা আশা করছেন। আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সিএমএসডির মাধ্যমে আরও দুই লাখ কিট সংগ্রহ করছি। এগুলো এখনও হাতে এসে পৌঁছেনি। এছাড়া ইউএনএফপিএ থেকে আমাদের ১০ লাখ কিট দেয়ার কথা রয়েছে।
কিট অনুমোদন ও আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা কোনো অ্যান্টিজেন কিটের অনুমোদন দেইনি। একটি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য (পারফরম্যান্স ইভ্যালুয়েশন) এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দেয়া হয়েছে। সেটি দেশে এলে পরীক্ষা করে দেখা হবে। কিটের কার্যকারিতার বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত আছে, সেগুলো পূরণ হলেই আমরা কিটের অনুমোদন দেব, অন্যথায় অনুমোদন দেয়া হবে না।
তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অ্যান্টিজেন কিট আমদানি করে সরকার বেআইনি কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোনে এ মন্তব্য করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সবার আগে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি কিট আবিষ্কার করি। সরকার আমাদের কিট আমেরিকার এফডিএ থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে বলে। আমি সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করি আমার দেশের মানুষের জন্য এই কিট বানিয়েছি। চারটি দেশে এম্বাসেডরের সঙ্গে আমি ফাইট করেছি। বলেছি, এটা আমাদের দেশের ব্যাপার ভালো হলে ভালো, খারাপ হলে খারাপ। তখন আমাদের কিটের বিষয়ে নতুন একটা শর্ত দেয়া হয়, আমেরিকা অথবা সুইডেনের তৃতীয় পক্ষের একটা ল্যাবে পরীক্ষা করিয়ে আনতে হবে। যা করতে হলে আমাদের আরও প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অ্যান্টিজেন কিট আনছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার কিট তো আমেরিকার ল্যাবে পরীক্ষা করা নয়। যদি ওই কিট দেশে ব্যবহার করতে হয় তাহলে ‘আমাকে যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শর্ত দেয়া হয়েছে সেটি দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার কিটের ক্ষেত্রে সরকার সেই নীতি অনুসরণ করছে না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার কোরিয়া থেকে কিট আমদানি করছে না। তারা অনুদান হিসেবে দিচ্ছে। এটা হাতে পাওয়ার পর সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হবে। শর্ত পূরণ করলেই ব্যবহারের জন্য অনুমতি পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, গত মার্চে বাংলাদেশে সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত শুধু আরটিপিসিআরের মাধ্যমে দেশে করোনা পরীক্ষা চলে আসছে। পরীক্ষায় গতি আনতে অ্যান্টিজেনের পক্ষে মত দেন বিশেষজ্ঞরা। ১৭ সেপ্টেম্বর করোনাভাইরাসের নমুনা শনাক্তে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমোদন দেয় সরকার। মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এ সংক্রান্ত চিঠিতে সব জানিয়ে দেয়া হয়।