বরগুনা সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়ন এর ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিরাজ খানের বিরুদ্ধে নিজ ঘরবাড়ি পুকুর বাগান থাকার পরও নিজের স্ত্রীকে ভূমিহীন দেখিয়ে সরকারি ঘর বরাদ্দ নেয়া ও সরকারি বিভিন্ন সহায়তা দেয়ার নাম দিয়ে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয় এবং জেলা প্রশাসক বরগুনা বর্ণিত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। জানা যায় ইউপি সদস্যর দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মিরাজ খান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ মূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪(১) অনুযায়ী জেলা প্রশাসক বরগুনা এর সুপারিশ মোতাবেক স্থানীয় সরকার বিভাগের ৫ ই অক্টোবর ২০২০ইং প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে উল্লিখিত ইউপি সদস্যর তার স্বীয় পদ সাময়িক বরখাস্ত করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ থাকে যে, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৪(৪)(খ) ধারার অপরাধে ইউপি সদস্যর পথ হতে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবেনা তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসক, বরগুনা এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। এমতাবস্থায়, ১১অক্টোবর ২০২০ইং বরগুনা সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসারের স্বাক্ষরিত ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্ত স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।