ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় ডিপিডিসির বহিষ্কৃত বিদ্যুতের রিডার আরিফুর রহমানকে (৩০) গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফতুল্লার কিল্লারপুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আরিফুর রহমান বরিশালের পটুয়াখালীর ইউনুস হাওলাদারের ছেলে।
গ্রেফতারের পর সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নারায়ণগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি জানান, মসজিদের মূলত বিদ্যুতের স্পার্ক থেকেই গ্যাসের বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিদ্যুতের সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। মসজিদে যদি মিটার রিডার আরিফুর প্রতি মাসে যেত তাহলে এমন ঘটনা হতো না। কারণ প্রতি মাসে মিটার চেক করলে অবৈধ সংযোগ বা সমস্যা ধরা পড়ত। আরিফুর রহমানকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন সমস্যার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তল্লা মসজিদ বিস্ফারণ মামলায় ইতোমধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩ সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দেয়া হতে পারে।
মসজিদ কমিটির গাফলতি নিয়ে নাছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, তদন্তের স্বার্থে তাদের মধ্যেও কেউ গ্রেফতার হতে পারে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় গ্রেফতার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৪ কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়া মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার মামলায় গ্রেফতার বিদ্যুতের মিস্ত্রি মোবারক হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, জবানবন্দিতে আসামি মোবারক হোসেন মসজিদ কমিটির সম্মতিতে সে মেইন লাইনের প্যানেল বোর্ড থেকে শুরু করে মসজিদের এসি ও সব লাইনের কাজ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এছাড়া এ মসজিদের দুইটি বিদ্যুৎ লাইনের একটি অবৈধ সে কথাও মোবারক স্বীকার করেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালের আইসিইউতে আশঙ্কাজনক রয়েছেন দুইজন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।