সরকার ধর্ষণ প্রতিরোধে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম রব। ধর্ষণের ভয়াবহতা কার্যকরভাবে মোকাবেলায় গ্রামেগঞ্জে পাড়া মহল্লায় ছাত্র, জনতা, সংবাদকর্মী, নারী,মানবাধিকার কর্মী, সংস্কৃত সেবী, শ্রমজীবী, কর্মজীবী, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের জনগণ ও স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ‘ধর্ষণ হত্যা প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে তুলতে মত দিয়েছেন তিনি। আ স ম রব আরও বলেন, সরকারকে দ্রুত ‘ধর্ষণ হত্যা প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সরকার অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতি, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার কুফল জাতি প্রত্যক্ষ করছে। জনগণের সম্মতিবিহীন দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে থাকলে সমাজ ও রাষ্ট্র যে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে উপনীত হয় তার প্রমাণ বাংলাদেশ। দুর্নীতি ও ধর্ষণে জড়িতরা সবাই সরকারি প্রশ্রয়ে ক্ষমতাধর। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ক্ষমতাধরদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। আইন বদল করলেও লাভ হবে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর ভার্চুয়াল সভায় দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন। আ স ম রব বলেন সরকারের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ে সারাদেশে দুর্বৃত্ত শ্রেণি জন্মলাভ করেছে। এই দুর্বৃত্ত শ্রেণীকে প্রতিরোধ করার নৈতিক ক্ষমতা সরকারের নেই। সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে জনগণের এই প্রতিরোধ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। জনগণের এই প্রতিরোধ আন্দোলনকে জনবিস্ফোরণে রূপান্তর করতে হবে। সম্পাদকমন্ডলীর সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার। তিনি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, দুর্বৃত্ত শ্রেণি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আনুকূল্য পেয়ে সারাদেশে হত্যা ধর্ষণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দুর্নীতি, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন বন্ধ করার সক্ষমতা সরকারের নেই। সভায় ১০ দফা ও ১৪ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন সংগঠন গড়ে তোলার প্রশ্নে কতিপয় প্রস্তাবনা উত্থাপন করে দলের কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন, গণবিস্ফোরণ ও গণঅভ্যুত্থানের জন্য জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ জন্য সংগঠনকে দ্রুত শ্রমজীবি, কর্মজীবী ও পেশাজীবি জনগণের মাঝে বিস্তার ঘটাতে হবে। সভায় আন্দোলন সংগঠন প্রশ্নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ডাঃ জবিউল হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, এ্যাড. সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, আমিন উদ্দিন বিএসসি, লোকমান হাকিম, এ্যাড. সৈয়দা ফাতেমা হেনা, আমির উদ্দিন মাস্টার, মতিউর রহমান মতি, অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব,সেলিম জামান চৌধুরী, এস এম রানা চৌধুরী, ব্যারিষ্টার ফারাহ খান, আজম খান, মীর জিল্লুর রহমান, ফারজানা দিবা, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান প্রমুখ।