সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ সভার আয়োজন করে। মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া আছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য পূর্ত মন্ত্রণালয়, পানি মন্ত্রণালয় এবং সিটি করপোরেশনসহ সবাই দায়িত্বপ্রাপ্ত। কাজগুলো সঠিকভাবে করার জন্য, গুণগত মানসম্পন্ন যাতে হয়, সঠিক সময়ে যেন হয়, যাতে মানুষ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন করতে পারে-সে জন্য সভা করা হয়েছে। সভায় নিজ নিজ দায়িত্ব সবাই বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের আরও যেসব সমস্যা আছে-চিহ্নিত করা হবে এবং বাস্তবায়ন করা হবে। সিডিএ-চসিক-বন্দরের সমন্বয় প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে অসমন্বয়ের কোনো অবস্থা থাকবে না। আমি জানি না কখন অসমন্বয় ছিল। আমার নেতৃত্বে সব মন্ত্রণালয় এসেছে। যদি কোথাও যেতে হয়, আমিও যাবো। দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা কাজ করছি বাংলাদেশের জন্য। চট্টগ্রামকে উন্নত নগরে পরিণত করার জন্য প্রশাসক যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনি দিবারাত্রি পরিশ্রম করছেন। তাতে করে দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে। যেসব রাস্তাঘাট ভগ্নদশা ছিল, সেগুলো ভালো অবস্থার দিকে যাচ্ছে। খালগুলো পরিষ্কার করা হবে। কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং হবে। একটা স্টাডি প্রকল্প চলছে ফৌজদারহাট থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ করার জন্য। হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন বিনিয়োগকারীরা। পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, কাজ করার চেষ্টা করবো। মন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী নদী ও চট্টগ্রাম বন্দরের জায়গা অবৈধ দখল ও দূষণের যেসব প্রক্রিয়া নিয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে দায়বদ্ধ করা হচ্ছে, আগামী দিনে এসব যেন তারা না করে। সভায় অংশ নেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, নৌসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সঞ্চালনায় সভায় আরও অংশ নেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস প্রমুখ।