নাটোরের বড়াইগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। জেলার হরিরামপুর থানার বসন্তপুরের বাগডাংগী নামক দুর্গম চর এলাকায় টানা ২৫ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শরীফুলকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।এ ঘটনার পর থেকে দির্ঘ্য দিন পলাতক ছিল ওই বাবা। বুধবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের এ তথ্য জানান হয়। সম্মেলনে জানান হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে সিআইডির সার্বিক দিক নির্দেশনায় এলআইসির একটি চৌকস দল মানিকগঞ্জ জেলা সিআইডির সহায়তায় এ অভিযান চালায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শরীফুল নিজের মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে ওই দিন রাতেই নাটোর জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, শরীফুল সন্ন্যাসীর বেশ ধরে থাকলেও সে প্রকৃতপক্ষে ভন্ড। ধর্ষণ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। বড়াই গ্রাম থানা সুত্রে জানা যায়, ১৬ বছর বয়সী নিজ মেয়েকে আটকে রেখে লাগাতার দুই মাস ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে বড়্ইাগ্রাম বড়াইগ্রাম পৌরশহরের গোয়ালফা এলাকার বশরত মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মেয়েটির মা। পরের দিন ধর্ষণের শিকার মেয়েটির আদালতে জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। কিন্তু মামলা দায়েরের সংবাদ শুনেই পালিয়ে যায় শরিফুল ইসলাম। এলাকাবাসি ও পুলিশ জানায়, শরিফুল ইসলাম সাধক ফকির-তরিকায় সন্নাসীব্রত হলে গত দুই বছর আগে স্ত্রী রেখা তাকে ছেড়ে অন্য একটি খানে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর মেয়েটি নানার বাড়িতে মানুষ হচ্ছিলেন। গত কোরবানির ঈদের ৬ দিন আগে লম্পট শরীফুল বিভিন্ন কৌশলে মেয়েকে বড়াইগ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে আসে এবং জোরপূর্বক আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটি এ ঘটনা দাদা ও দাদীকে জানালেও এতে কোন লাভ হয়নি । বাড়িতে কোন লোকজন এলে তার সাথে দেখা বা কথা বলতেও দিতো না এই পরিবারের সদস্যরা। পরে মেয়েটি তার নানীকে ঘটনা খুলে বললে মেয়েটির মা ও নানী গত সোমবার বড়াইগ্রামে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর সিআইডি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, মামলার পর থেকেই শরিফুল ইসলাম পলাতক ছিল। সিআইডি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় সোর্পদ করেছে বৃহস্প্রতিবার দিন তাকে নাটোর আদালতে হাজির করা হয়।