পাবনায় এলজিইডি’র পক্ষ থেকে গ্রামীন সড়ক রক্ষনা-বেক্ষন মাস হিসেবে সড়ক রক্ষনা-বেক্ষন ও সংস্কারের কাজ এগিয়ে চলছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া বাজার থেকে টেবুনিয়া বজার পর্যন্ত ৬ দশমিক ০৫ কি:মি: সড়কটির খানা খন্দ মেরামত ও সংস্কার করা হয়। ”মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার সড়ক হরে সংস্কার” এ শ্লোগান নিয়ে ০১ অক্টোবর বৃহস্প্রতিবার থেকে গ্রামীন সড়ক সংস্কার ও রক্ষনা-বেক্ষনের কাজ শুরু করে পাবনার এলজিইডি।পাবনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান জানান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর অনুপ্রেরনায় এলজিইডির পক্ষ থেকে গ্রামীন সড়কের মেরামত ও রক্ষনা-বেক্ষনের কাজ করা হচ্ছে। তিনি জানান, পাবনা জেলার নয়টি উপজেলার ৭৪টি ইউনিয়নে এলজিইডির আওতাধীন প্রায় ৫ হাজার ৮০৫ কি:মি: রাস্তা রয়েছে। এর ভেতর ২ হাজার ৫১৭ কি:মি: রাস্তা পাকা এবং ৩ হাজার ২৮৮ কি:মি: রাস্তা কাচা রয়েছে। রোদ-বৃষ্টিতে জেলার ৮০ কি:মি: রাস্তা চলাচলের কিছুটা অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দ্রুতই সেটা মেরামত করা হবে। জেলার ২ হাজার ৪৩৭ কি:মি: রাস্তা চলাচলের উপযুক্ত রয়েছে। তার ভেতর কোন কোন রাস্তা চলমান বৃষ্টিতে কিছু খানা খন্দ হয়েছে, চলতি মাসের কর্মসুচীতে ওই খানা খন্দ মেরামত, সংস্কার ও রক্ষনা-বেক্ষন করা হবে। তিনি আরো জানান, গ্রামীন সড়ক উন্নয়নের কারনে হাট-বাজার, খামার, সরকারী দফতরের সঙ্গে গ্রামীন জনগোষ্ঠির যোগাযোগ সহজতর, শিক্ষা, সামাজিক ও কল্যাণমুলক প্রতিষ্ঠান ও পল্লী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের সাথে যোগাযোগের পথ সুগম হয়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতির উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামীন কুঠির শিল্পে উৎপাদিত পন্য, কৃষিজ পন্যসহ সব ধরনের পন্য বাজারজাত করা সহজ হচ্ছে। পাবনা এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. আ. খালেক জানান, গ্রামীন রাস্তা সংস্কার ও রক্ষনা-বেক্ষনের জন্য সংগৃহিত নির্মান সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে নিয়োগকৃত জনবল সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলজিইডি, পাবনা দফতরের কর্মকর্তাগন বিভিন্ন সড়ক সংস্কারের কাজ মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছে। এ মাসের মধ্যে ছোট-খাট খানা-খন্দ গুলো সংস্কারের কাজ শেষ করার জন্য জোড় প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে বছরব্যাপী এ কাজ অব্যাহত রাখা হবে। সড়ক ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠি, জন প্রতিনিধি সবাই এ কাজে সহযোগিতা করছেন। পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান বলেন, জেলাতে যে রাস্তাগুলো কাচা রয়েছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে পাকা করার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া দরকার। তাহলে গ্রামীন অবকাঠামোর আরো উন্নয়ন এবং গ্রামীন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।