বগুড়ায় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বাড়ছে। সৃষ্টি করছে নানা বিড়ম্বনা, যা সমাজে অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক, টুইটার সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে নাটকীয় ভাবে কিশোর -কিশোরীদের বা তরুন প্রজন্মের যোগাযোগ পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে, বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। সচেতন অভিভাবকদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, স্মার্ট ফোন/ ট্যাব ব্যবহারে বা কাজে লাগিয়ে প্রেমের অভিনয়ে ব্লাক মেইল করে ধর্ষণ ও টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। এমন একটি ঘটনায় বগুড়ার সাইবার পুলিশ গত শুক্রবার ১ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার কৃত ব্যক্তি মাত্র ২২ বছর বয়সের কলেজ ছাত্র । ২০টির অধিক মেয়ের সাথে প্রেম করেছে। সে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার কলেজ ছাত্র । জানা যায়, প্রেমের অভিনয় করে মেয়েদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে গিয়ে কৌশলে রাজি করিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ধারণ করে রাখে। পরে তাদের ম্যাসেঞ্জারে ওই সব অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে ব্লাক মেইল করে টাকা ও স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নিত। অবশেষে বগুড়া শহরের এক স্কুল ছাত্রীর এ ধরণের অভিযোগ পাওয়ায় সাইবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার কৃত তানজিমুল ইসলাম রিয়ন (২২) নওগাঁ জেলার সদরের চকদেব পাড়ার মৃত তাজুল ইসলাম কবিরাজের ছেলে। বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া চৌধুরী পাড়ায় তার নানা আবু সাঈদ ফকিরের বাসায় বসবাস করে। দুপচাঁচিয়া জেকে কলেজে বিএসএস ১ম বর্ষে লেখাপড়া করে। বগুড়া শহরের এক স্কুল ছাত্রীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর ভিডিও কল করে ওই স্কুল ছাত্রীর অশ্লীল ছবি ধারণ করে রাখে। পরে তার ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে ব্লাক মেইল করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ও স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নেয়। এ ধরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়া সদর থানায় গত বৃহস্পতিবার পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হলে ওই রাতেই সাইবার পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন এর নেতৃত্বে সাইবার পুলিশ বগুড়া’র একটি টিম দুঁপচাচিয়ার থানার চৌধুরী পাড়া থেকে তানজিমুল ইসলাম রিয়নকে গ্রেফতার করে। সাইবার পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন নবচেতনাকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার নিকট থেকে জব্দকৃত ডিভাইস চেক করে দেখা যায় যে, গ্রেফতার কৃত রিয়নের একাধিক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে। ২০ জনের অধিক মেয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশের অশীøল স্থিরচিত্র এবং অশ্লীল ভিডিও চিত্র ফেইসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জারে সংরক্ষিত রয়েছে। মেয়েদের সাথে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে কখা বলার সময় স্ক্রিন রেকর্ডারের মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ও স্থিরচিত্র ধারণ করে পরবর্র্তিতে ব্লাক মেইল করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধে গণসচেতনতা গড়ে তুলতে এবং পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে বলেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।