দক্ষিণ অফ্রিকায় বাংলাদেশ রেমিটেন্স যোদ্ধা বেলাল হোসেন ভূঁইয়াকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যাকারী কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ও প্রবাসীদের নিরাপত্তা দাবী করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আফ্রিকায় নিহত বেলালে গ্রামের বাড়িতে সরেজমিন গেলে নিহতের স্বজন, এলাকাবাসী ও ¯’ানীয় জনপ্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবী জানান। এদিকে বেলাল খুনের খবরে গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহত বেলাল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত তোফায়েল আহমদের ছেলে। জানা গেছে, বেলাল হোসেন ভূঁইয়া জীবিকার সন্ধানে বিগত ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায়। প্রথমে চাকরি করলেও পরে ফ্রি স্টেইট প্রদেশের বেথোলি এলাকায় নিজের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন তিনি। এরই মাঝে কয়েকবার দেশেও এসেছিল বেলাল। সবশেষ গত ৩ বছর আগে দেশে আসার পর পুনরায় আফ্রিকায় চলে যান বেলাল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে একদল সন্ত্রাসী বেলালের দোকানের সামনের অংশ ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মালামাল লুট করতে থাকে। বেলাল সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে যায় পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনা¯’লেই বেলালের মৃত্যু হয়। সকালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে বেলালের মৃত্যুর সংবাদ বাড়ীতে আসার সাথে সাথে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বেলাল ছিলো পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বেলালের খুনিদের বিচার ও প্রবাসীদের নিরাপত্তা দাবী করেছেন পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী। বেলাল হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী ও অসহায় বেলালের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাবীতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে জীরতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, নিহত বেলালের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ের রয়েছে। জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে বেলালের মতো একই ভাবে গত ১ মাসে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন নোয়াখালীর ৪ প্রবাসী। আমরা চাই এসব খুনের বিচার হোক। বেলালসহ সকল প্রবাসী খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা দরকার বলে আমরা মনে করি। বিচার না হলে খুনিরা আরো উৎসাহ পাবে বলেও মনে করেন ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলন।