মাগুরার পাইকারি পিয়াজের বাজারে চলছে অস্থিরতা। ভারত বাংলাদেশে পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় স্থানীয় পিঁয়াজের মুল্য আকস্মিক বৃদ্ধির কারনে বাজারে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। ভারতের পিয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না বলে মন্তব্য সংশ্লিদের। গত সপ্তাহের সোমবার পর্যন্ত মাগুরার খুচরা বাজারে পিঁয়াজ সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা দরে। ৩-৪ দিনের ব্যবধানে সেই পিঁয়াজ বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে ৮০ টাকায়। কয়দিনের ব্যবধানে পিঁয়াজ কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়েছে। আবার কোথাও কোথাও পিঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে দেখা যায় । ভারতের পিয়াজ আমিদানি বন্ধ থাকার কারনে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পিঁয়াজের কৃত্রিম সংকট অবস্থা তৈরির জন্য এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় কৃষক গেরস্থদের ঘরে সংরক্ষিত থাকা পেয়াজও তারা বেশি মুল্যে বিক্রির আশায় বাজারে না ছাড়ার কারনকেও দায়ী করছেন স্থানীয় আড়ৎদার ও পাইকারি ব্যাবসায়ীরা। সোমবার সরেজমিন মাগুরা পাইকারি পিঁয়াজের বাজারে গেলে দেখা যায়, স্থানীয় দেশি জাতের পিঁয়াজ বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা । কেউ ৭০-৭২ টাকা ,কেউ ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন । খুচরা বাজারে যা ৮০-৮৫ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের চাহিদা বৃদ্ধির কথা থাকলেও ব্যাবসায়ীরা বলছেন দাম বৃদ্ধির কারনে আগের তুলনায় তাদের বেচা বিক্রিও কমে গেছে । মাগুরা কাচাবাজারের পিঁয়াজ আড়ৎদার অরুন বৈদ্য জানান, গত সপ্তাহে দেশি পিঁয়াজের পাইকারি বিক্রি মুল্য ছিলো ৫০-৫৫ টাকা। মাত্র কদিনের ব্যাবধানে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায় । আকস্মিক দাম বাড়ার কারন হিসেবে চাহিদার তুলনায় বাজারে আমদানি কম থাকা ও ভারত বাংলাদেশে পিঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করায় অসাধু ব্যাবসায়ীদের মজুদ করা। সেই সাথে বিক্রি মুল্য উঠানামা করার কারনে স্থানীয় কৃষক বা গেরস্থদের ঘরে সংরক্ষিত পিয়াজ বাজারে না ছাড়ার কারনে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই মুল্য উঠানামা নিয়ে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির কারনে আগের চেয়ে স্থানীয় আড়ৎতে বেচাকেনা কমে গেছে বলে জানান তিনি। আগে গড়ে প্রতিদিন ২০০থেকে ৪০০ কেজি পেয়াজ বেচাকেনা করলেও মুল্য বৃদ্ধির পর বর্তমানে ১৫০ থেকে ২০০ কেজির বেশি বেচাকেনা করতে পারছেন না বলে জানান। ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানিকারক স্বপন পাল জানান, ভারতের পিঁয়াজ আমদানি করে জেলায় বিক্রি করেন তারা । কিন্তু গত সপ্তাহের সোমবার থেকে ভারতের কোন পিঁয়াজের চালান না পাওয়ার ফলে বাজারে পিঁয়াজের মুল্য নিয়ে এ অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মাগুরার সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, বাজারে পিঁয়াজের বিক্রি নিয়ে অস্থিরতা ঠেকাতে ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেছন । দুই এক দিনের মধ্যে পাইকারি বাজারে পিঁয়াজের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আর যদি কোন ব্যবসায়ী বা অন্য কেউ মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।