বিলাসবহুল ছয়তলা বাড়িসহ টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাময়িক বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারণের নামে থাকা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক হচ্ছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। একইদিন আদালত প্রদীপ দাশের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে বর্ণিত সম্পত্তি ক্রোকের জন্য আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। আদালতের এ নির্দেশনার ফলে মামলার এজাহারে বর্ণিত সব সম্পত্তি এখন দুদকের অনুকূলে চলে এসেছে।
দুদক সূত্র জানায়, নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা এলাকায় অবস্থিত ‘লক্ষ্মী ম্যানসন’ নামে ছয়তলা ভবনটিও ক্রোক হচ্ছে। প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারণের নামে এ বাড়িটি রয়েছে। বাড়িটি চুমকি কারণ তার বাবার কাছ থেকে দানপত্র মূলে পেয়েছিলেন বলে দুদকে প্রদত্ত সম্পদের হিসাবে উল্লেখ করেন। তবে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে- প্রদীপ কুমার দাশ তার ‘ঘুষ-দুর্নীতির’ মাধ্যমে অর্জিত আয় গোপন করার উদ্দেশ্যে তার শ্বশুরের নামে উক্ত বাড়ি নির্মাণ করে রূপান্তরপূর্বক পরবর্তীতে তার স্ত্রী চুমকি কারণের নামে দানপত্র করে নেয়। এছাড়া স্ত্রী চুমকি কারণের নামে থাকা নগরীর মুরাদপুর ও কক্সবাজারে জমিও ক্রোকের আওতায় রয়েছে।
৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন। ওই মামলায় ২৭ আগস্ট মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জমা দেয়া হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত দুদকের মামলায় প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। এদিকে মামলা দায়ের করার পর থেকে পলাতক রয়েছেন প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারণ। দুদক কর্মকর্তারা বলেন, চুমকি কারণকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেফতারে সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়।