মাগুরার মহম্মদপুরে কেয়া খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের আউনাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কেয়া গ্রামের আবুল শেখের দুবাই প্রবাসী পুুুত্র সজিব শেখের স্ত্রী। আজ ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চৌবাড়য়িা গ্রামের ফসিয়ার রহমান মোল্যার মেয়ে কেয়ার সাথে এক বছর পুর্বে দীঘা ইউনিয়নের আউনাড়া গ্রামের আবুল শেখের ছেলে সজিব শেখের বিয়ে সম্পুন্ন হয়। বিয়ের তিন মাস পর কেয়ার স্বামী সজিব দুবাই চলে যান। এর পর থেকে গৃহবধূ কেয়া শ্বশুরবাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। এ অবস্থায় বুধবার দুপুরে কেয়া শ্বশুরবাড়ির নিজ বসত ঘরের আঁড়ার সাথে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এ সময় সজিবের বড় বোন জাহানারা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা কেয়াকে ঝুঁলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে এ ঘটনার পর শ্বশুরবাড়ির লোকদের দায়ী করে তাদের নির্যাতনের কারণেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহত কেয়ার পিতা ফসিয়ার রহমান মোল্যাসহ পরিবারের লোকেরা। নিহত কেয়ার বাবা ফসিয়ার ও চাচা ওলিয়ার রহমান অভিযোগ করেন, এক বছর পুর্বে সজিবের সাথে ভাস্তির বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই দুবাই চলে যায় সজিব। এর পর থেকে কেয়া শশুর বাড়িতেই অবস্থান করছিলো। কিছুদিন যাবৎ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিদেশ থেকে পরিবারে টাকা পাঠানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা সৃষ্টির কারনে কেয়ার উপর নির্যাতন চালাতো। এদিন নিহতের ঘটনার পর ওই পরিবার থেকে তাদেরকে কোন সংবাদ দেয়া হয়নি, প্রতিবেশিদের কাছে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে কেয়ার মরদেহ দেখতে পান তারা। এ সময় তাদের আচার আচারনও ছিলো ভিন্ন। তারাই কেয়াকে হত্যার পর গলায় ফাস দেয় বলে অভিযোগ করেন তারা। অপরদিকে কেয়ার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবী প্রবাসে থাকা স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে ঝগড়া হবার কারনে আত্মহত্যা করেছে কেয়া। এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার ওসি তারকনাথ বিশ্বাস জানান, গৃহবধূ কেয়ার মৃত্যুর বিষয়ে থানায় একটি অপমুত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর পর আজ বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের কাজ শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে বলে জানান তিনি।