রাজশাহীর শেষ সীমানায় বাগমারা উপজেলায় ভবানীগঞ্জ পৌরসভা। ২০০০ সালে এই পৌরসভা গঠিত হয়। এর আয়তন ১০ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার এবং এর মধ্যে ভোটার রয়েছেন ১৮ হাজার। ২০০০ সালে এই পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হলেও হয়নি নতুন ভবন। বর্তমান পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল এই পাঁচ বছরে বেশ কাজ করেছেন। অনেক কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং অনেক কাজ চলমান রয়েছে। সেইসাথে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন পৌর ভবনের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সকল প্রক্রিয়া শেষ করেছেন। সেইসাথে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা এবং মেয়র ও কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা বকেয়া নাই বলে জানান তিনি। একান্ত সাক্ষাতকারে ভবানীগঞ্জ পৌসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল নবচেতনাকে বলেন, বিগত সময়ের মেয়রগণ কেন যেন উন্নয়নের দিকে নজর দেয়নি। এমনকি পৌরভবনের জন্যও কোন কাজ করেননি। এখন পর্যন্ত পুরাতন জরাজীর্ন ভবনে পৌরসভার কার্যক্রম চলছে। অথচ এই পৌরসভার পরে যেগুলো হয়েছিলো প্রায় সবগুলো পৌরসভায় নতুন ভবন নির্মাণ হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় রাস্তা, পানি ও পয়নিস্কাশনের জন্য ড্রেন, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, রাস্তা আলোকিতকরণের ব্যবস্থা করে তারা যাননি। মেয়র হওয়ার পর থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্যর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করে অনেক উন্নয়নমুলক কাজ করছেন বলে জানান তিনি। মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে দশ কোটি টাকা ব্যায়ে রাস্তা, ড্রেন, পুকরের প্রটেকশন ওয়াল ও কার্লভাট এর কাজ শেষ হয়েছে। একই ধরনের আরো দশ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন মসজিদ, মন্দির. শ্বশান ও কবরস্থানের উন্নয়ন করেছেন। তিনি আরো বলেন, মানুষের বসবাস করার জন্য বাড়ি অনেক প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল হতে এক কোটি আঠাত্তর হাজার টাকা ব্যয় করে পৌর এলাকায় ১৭৮টি বাড়ি তিনি নির্মাণ করেছেন। সেখানে এখন মানুষ বসবাস করছেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তিনি সরকারি দল হতে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। আগামীতে আবার সেবা কারার সুযোগ পেলে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার পাশাপাশি ভবানীগঞ্জকে মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।