মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তারনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ফসলি জমির কাটার অভিযোগ উঠেছে। কোন সরকারি নিয়ম নীতি মানতে নারাজ এ আওয়ামী লীগ নেতা। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাশেই ৩ ফসলি জমির আবাদ স্থল নামে পরিচিত মাঝখানে জোরপূর্বক ড্রেজার দিয়া মাটি কেটে পুকুর বানাচ্ছে। কেউ বাধা দেয়ার সাহজ পায় না। গভীরভাবে খনন করায় পাশের জমি ভেঙ্গে পরার আতঙ্কে জমির মালিকরা। পরে ভাঙ্গা জমির মাটি বেচার চাপে থাকে পাশের জমির মালিকেরা। এভাবেই একটার পর একটা জমির মাটি কেটে ফসলি জমি পুকুর করছে রফিকুল ইসলাম তারন। আরো জানা যায়, বর্ষামৌসুমে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটে আর শুষ্ক মৌসুমে ভেকু দিয়ে মাটি কাটে। মাটি কাটার নেশায় মেতেছে রফিকুল ইসলাম তরন। কোলা ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য রওশন আরা জানান, কোলা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তারন কোলা ইউনিয়নের এমন কিছু কাজ করতাছে যা মানুষ চোখে মানুষ বলতেও পারে না। সেক্রেটারি হিসেবে ভয় পায় মানুষ।কারো বাধা মানতেছেনা। ৩ ফসলি জমি কাটতেছে। পাশে একটি কবরস্থানের জমি রয়েছে। তার সাথে কিছু সাঙ্গো পাঙ্গো দিয়ে ভয় দেখিয়ে এ অপকর্ম করতাছে। তবে রফিকুল ইসলাম তারন জানান, আমি কারো মাটি জোড় করে কাটি না। আমার কাছে মাটি বিক্রি করছে তাই আমি মাটি কাটছি। সারা বাংলাদেশ একই অবস্থা। রশুনিয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর জানায়, ফসলি জমির মাটি কাটার তথ্য আমার জানা নাই। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।