মধ্যযুগের কীর্তিময়ী কবি চন্দ্রাবতীর বসতভিটা ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। রবিবার সকালে তিনি জেলা সদরের মাইজখাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়ায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংরক্ষিত পুরাকীর্তি কবি চন্দ্রাবতীর মন্দির পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি কবি চন্দ্রাবতীর বসতভিটার পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করার জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রতি আহবান জানান। মধ্যযুগের কবি চন্দ্রাবতীর বসতভিটা- মন্দির ও তাঁর পিতা মনসা মঙ্গল কাব্যের কবি দ্বিজ বংশি দাসের মন্দিরের স্থাপত্য নিদর্শন পরিদর্শন করে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পরিদর্শনকালে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সুত্রধর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাগুপ্তা হকসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ। এ সময় কবি চন্দ্রাবতী মন্দিরের সাইট পরিচারক মোঃ আমিনুল হক ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএকে কবি চন্দ্রাবতীর মন্দির ও তাঁর পিতা দিজ বংশি দাসের মন্দির দুটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সংরক্ষিত করা হয়েছে বলে অবহিত করেন। বিভাগীয় কমিশনার চন্দ্রাবতীর বসতবাড়িটিও সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রতি আহবান জানান। পরে ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার জেলা সদরের মহিনন্দ ইউনিয়নের ষোলমারায় প্রস্তাবিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের স্থান পরিদর্শন শেষে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।