যশোরের চৌগাছার নোভা এইড প্রাইভেট হাসপাতাল, পল্লবী ক্লিনিক ও কপোতাক্ষ ক্লিনিকে তৃতীয় দফা অভিযান চালিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। অভিযানের সময়ে বারবার ক্লিনিকগুলির মালিকদের নির্দেশনা দেয়া সত্বেও তারা সেগুলি না মেনে নিজেদের মতেই ক্লিনিক পরিচালনা করে যাওয়ায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এছাড়া গত ৬ আগস্টের অভিযানে বন্ধ করে দেয়ায় মায়ের দোয়া ক্লিনিকসহ কয়েকটি প্যাথলজি ক্লিনিক বন্ধ থাকায় সেগুলোতে অভিযান চালানো হয়নি। সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন এটাকে অভিযান না বলে বলছেন শেষবারের মত পরিদর্শন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ, চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাঃ লুৎফুন্নাহার লাকি, যশোর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহনেওয়াজ, সিভিল সার্জন অফিসের এ্যাডমিনিষ্ট্রিটিভ অফিসার আরিফ আহমেদ, যশোর সদর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর পার্থ প্রতিম লাহিড়ীসহ স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পল্লবী ক্লিনিকে দেখা যায় তাদের সার্বক্ষণিক কোন ডাক্তার নেই। সেখানে একজন মেডিকেল এ্যাসিন্টেন্ট (জাকির হোসেন) রোগী দেখেন এবং প্রেসক্রিপশনে স্বাক্ষর করেন তার (মেডিকেল এ্যাসিন্টেন্টের) স্ত্রী। যিনি ডাক্তার নন, সাধারণ ব্যক্তি। ক্লিনিকটির বর্জ ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে, যা বারবার নির্দেশ দেয়া সত্বেও সংশোধন করা হয়নি। এসময় সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন ক্লিনিকগুলোর মালিকদের বলেন আমি এখানে আসতে চাইনি বলে আমার প্রতিনিধিদের বারবার পাঠিয়েছি। কিন্তু আপনারা তাদের নির্দেশনা মানেন নি। বাধ্য হয়ে আমাকেও আসতে হয়েছে। পরিদর্শনে যেসব অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হলো সে অনুযায়ী চুড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করে গোপনীয় প্রতিবেদন হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হবে।